• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ১, ২০১৯, ০৪:৩৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১, ২০১৯, ০৪:৩৭ পিএম

ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তাকর্মী খুন, আহত ৪

ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তাকর্মী খুন, আহত ৪

নরসিংদীর ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে চোর চক্রের হামলায় গোলাপ মিয়া (৫৫) নামে এক নিরাপত্তা কর্মী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ৪ জন। আহতরা হলেন, ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী সাজ্জাদ রহমান, নিরাপত্তা সুপারভাইজার আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ আনসার দলের সদস্য আসাদুল্লাহ ও মো. উজ্জল মিয়া। 
নিহত গোলাপ মিয়ার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার চরটেকি গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল বারেক মিয়া। 

রোববার (৩১ মার্চ) দিবাগত রাত ২টার দিকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাওয়ার হাউজে এ ঘটনা ঘটেছে। পলাশ থানার অফিসার ইনচার্জ মকবুল হোসেন মোল্লা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনার বিষয়ে সরেজমিনে নিহত নিরাপত্তাকর্মী গোলাপ মিয়ার স্বজন, আহত নিরাপত্তাকর্মী ও সিবিএ নেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,  রোববার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ১০/১২ জনের একদল চোর ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাওয়ার হাউজে ঢুকে তামার মূল্যবান ক্যাবল চুরি শুরু করে। টের পেয়ে নিরাপত্তাকর্মীরা চুরি প্রতিরোধের চেষ্টা করে এবং চুরি হতে যাওয়া ক্যাবল উদ্ধার করে। এতে চোরদল ক্ষিপ্ত চোরদল পেছন থেকে কর্তব্যরত নিরাত্তাকর্মীদের ঘিরে ফেলে এবং দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় ঘটনাস্থলেই নিরাত্তাকর্মী গোলাপ মিয়া নিহত হয়। এসময় আহত হয় আরও ৪ নিরাপত্তাকর্মী। পরে আহতদের ডাক চিৎকারে সেনা বাহিনীর একটি গাড়ি গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। আহতদের বিদ্যুৎকেন্দ্রের চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। 

আহত নিরাপত্তা সুপারভাইজার আবুল কালাম আজাদ জানান, রাতে যখন চোর চক্র কারখানার ক্যাবল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তখন তাদের থেকে ক্যাবল ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি এবং ফিরে আসার পথে পেছন থেকে চোরচক্র অতর্কিত হামলা চালায়। কারখানায় চোর প্রবেশ করেছে এবং হামলার ঘটনায় ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা শাখার সহকারী পরিচালক কামাল মজুমদারকে বেশ কয়েকবার কল দিলেও তা যথা সময়ে রিসিভ করেননি। বেশ কিছুক্ষণ পরে রিসিভ করলেও তিনি ঘটনার বিষয়টি উড়িয়ে দেন এবং বিশ্বাস করেন না বলে নিরাপত্তাকর্মীদের জানিয়ে দেন।  

ঘটনার বিষয়ে ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা শাখার সহকারী পরিচালক কামাল মজুমদার অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং এই কারখানায় এর আগে আরো কয়েকবার এরকম ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়ে আরো বলেন, প্রশাসন এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিলেও এর একটা স্থায়ী সমাধান হওয়া প্রয়োজন। 
কারখানায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরধার করণসহ কেপিআইভুক্ত এলাকায় এই জঘন্যতম ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সিবিএ নেতা চন্দন কুমার চংদার।  
পলাশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মকবুল হোসেন মোল্লা জানান, ঘটনার খবর পেয়ে সকালে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পলাশ থানা পুলিশ নিরাপত্তাকর্মী গোলাপ মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

কেএসটি