নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি ভবনের গ্যাস লাইন লিকেজ হয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে দুজন নিহত ও ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। এছাড়াও বিস্ফোরণে তিনতলা বিশিষ্ট ভবনটি নিচতলার একাংশ পুরোপুরি ভেঙে গেছে।

নিহতরা হলেন, মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর থানার কোমরপুর এলাকার দুদু মিয়ার ছেলে শামীম (৩০) ও ঝালকাঠি জেলার নলছটি থানার কয়া এলাকার রহিম বিশ্বাসের ছেলে হেলাল বিশ্বাস ওরফে রাকিব (২৫)। তারা দুজনই স্থানীয় নেক্সট এক্সোসরিস লিমিটেড পোশাক কারখানার শ্রমিক।

আহতরা হলেন, তরিকুল ইসলাম, লিয়াকত আলী, হযরত আলী, আরিফুর রহমান। আহতদের মধ্যে তরিকুল ইসলাম ও হযরত আলীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।  

সোমবার (২২ এপ্রিল) ভোর রাতে উপজেলার ভুলতা সাওঘাট এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ভবনটির মালিক নরসংদী রায়পুরা এলাকার বাসিন্দা রাবেয়া আক্তার মিলি। তিনি পেশায় একজন আইনজীবী।

ঘটনাস্থল থেকে রূপগঞ্জ কাঞ্চন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ইনচার্জ আব্দুল মান্নান জানান, সোমবার ভোর ৩টার দিকে সাওঘাট এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুতর অবস্থা ৬ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দু’জনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত চারজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

তিনি আরও জানান, ঘটনার সূত্রপাত কোথা থেকে এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। 
হয়তো বিস্ফোরক জাতীয় দ্রব্য বা আগুনের সংস্পর্শে এসে গ্যাস বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। বিস্ফোরণে তিনতলা বিশিষ্ট ভবনটি নিচতলার একাংশ পুরোপুরি ভেঙে গেছে। যেকোনো সময় পুরো ভবনটি ধসে পড়তে পারে। তাই ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে।

ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর রফিকুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতদের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। 
বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তাদের নির্দেশানুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কেএসটি