• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২২, ২০১৯, ০৬:১৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২৩, ২০১৯, ১২:১৯ এএম

সাতক্ষীরা

বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিবন্দি কয়েক হাজার মানুষ

বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিবন্দি কয়েক হাজার মানুষ
নদীতে ভাঁটার সময় বাঁধ মেরামতে কাজ করছে গ্রামবাসী -ছবি : জাগরণ

সাতক্ষীরার আশাশুনিতে খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে ২ গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ভেসে গেছে শতাধিক মৎস্য ঘের। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে গ্রামের হাজার হাজার বাসিন্দা।

সোমবার (২২ এপ্রিল) ভোরে আশাশুনি উপজেলার কোলা গ্রামের পরিমল মণ্ডলের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় ১০০ ফুট খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, এ ঘটনায় উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলা ও হিজলা গ্রামের  নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে শতাধিক মৎস্য ঘের ভেসে গেছে। পানিবন্দি দুই গ্রামের অধিকাংশ কাঁচা ঘর-বাড়ি ধসে পড়ার উপক্রম হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা পরিমল মণ্ডল জানান, ভোরে তার বাড়ি সংলগ্ন বেড়িবাঁধের বেশ কিছুটা ধ্বসে নদীগর্ভে চলে যায়। এ সময় প্রবল বেগে পানি ঢুকে মৎস্য ঘের অধ্যুষিত কোলা ও হিজলা গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। এর কিছু সময় পরেই নদীতে ভাটা শুরু হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি কম হলেও দুপুরের জোয়ারের পানি ঢুকে প্রতাপনগর ইউনিয়নের আরও কয়েকটি গ্রামসহ পাশের শ্রীউলা ইউনিয়নও প্লাবিত হতে শুরু করেছে।
 
এদিকে, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে সকালে বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করা হয়। তবে দুপুরে জোয়ার শুরু হওয়ায় বাঁধ মেরামত করতে ব্যর্থ হন তারা।

স্থানীয় প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দৈনিক জাগরণকে জানান, স্থানীয় এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি। তবে এর আগেই বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।

 তিনি আরও জানান, খোলপেটুয়া নদীর বেশ কিছু এলাকায় বেড়িবাঁধের অবস্থা খুবই নাজুক। অনেক আগেই পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বাঁধ মেরামতের বিষয়ে বলা হলেও তারা এ বিষয়ে কোন গুরুত্ব দিচ্ছে না। বাঁধ না ভাঙলে তারা এলাকায় আসেন না, আগেই মেরামত তো দূরের কথা।

এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফউজ্জামান খানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।