কুমিল্লা জেলার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নতুন পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) হয়েছেন বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা ও কুমিল্লা আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. মো. জহিরুল ইসলাম সেলিম।

সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে তিনি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীরের নিকট যোগদান করেন। 

এ সময় আদর্শ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড.মো.আমিনুল ইসলাম টুটুল, অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. গোলাম ফারুক, জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি অ্যাড.আবদুল মমিন ফেরদৌস, সাধারণ সম্পাদক এড. হারুনুর রশিদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাড. সৈয়দ নূরুর রহমান, সাবেক এজিএস ও মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. আমজাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। 

জানা যায়, গত রোববার (২১এপ্রিল) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সহকারী সচিব মো. আব্দুছ ছালাম মণ্ডল স্বাক্ষরিত এক আদেশে কুমিল্লা জেলার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বর্তমান পিপি অ্যাড. মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান লিটন পিপি স্থলে অ্যাড. মো. জহিরুল ইসলাম সেলিম স্থলাভিসিক্ত হন। সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২ টায় ‍তিনি জেলা প্রশাসকের বাসভবনে গিয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মো.আবুল ফজল মীর এর কাছে যোগদান করেন।

যোগদান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া বিনিময়ে অ্যাড. মো.জহিরুল ইসলাম সেলিম তার উপড় অর্পিত দায়িত্ব সততা ও ন্যায়-নিষ্ঠার সঙ্গে পালনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এ সময় তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আইন মন্ত্রী অ্যাড.আনিসুল হক, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 

উল্লেখ্য, কুমিল্লা বারের স্বনামধন্য আইনজীবি এড. মো.জহিরুল ইসলাম সেলিম কুমিল্লার রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও একজন পরিচিত মুখ। তিনি বর্তমানে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও সাংস্কৃতি সম্পাদক ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ছাত্র জীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যেমে রাজনীতির হাতেখড়ি নেন। ১৯৭০ সালে তিনি ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সংসদের ডিজিএস নির্বাচিত হয়। ১৯৭২ সালে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদের দায়িত্ব পান। ১৯৭৮ সালে এলএলবি পাশ করে। ১৯৭৬-৭৭ সালে তিনি কুমিল্লা আইন কলেজের ভিপি ছিলেন। ছাত্র জীবন শেষ ১৯৮০ সালে কুমিল্লা বারে নিয়মিত আইনজীবি হিসেবে আইন পেশায় যোগ দেন। অল্প সময়ে তিনি কুমিল্লা আদালত অঙ্গনে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে ২বার জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি ও একবার সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়। তিনি ১৯৯৬ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত টানা ৫বার টাউন হল মিলনায়তনের সেক্রেটারি ছিলেন। এছাড়া তিনি কুমিল্লা ডায়াবেটিকস সমিতি,নজরুল পরিষদ, জেলা ক্রীড়া সংস্থা,রেড ক্রিসেন্ট,কুমিল্লা ক্লাব,অধুনা থিয়েটার,সূর্য তরুণ সংঘসহ বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থার সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত রয়েছেন।

একেএস