• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০১৯, ০১:১৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ৮, ২০১৯, ০৭:৪৩ পিএম

শুধু মুখটাই টিকে আছে মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাতের

শুধু মুখটাই টিকে আছে মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাতের
মাদ্রাসা ছাত্রী আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান- ফাইল ছবি

 

মুখমণ্ডল ছাড়া আর কিছু অবশিষ্ট নেই আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহানের দেহে। ৭০ শতাংশ দগ্ধ এই ছাত্রী এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে লাইফ সাপোর্টে আছে।

শেখ হাসিনা ন্যাশনাল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের উপদেষ্টা ডা. সামন্ত লাল সেন দৈনিক জাগরণকে বলেন, এই অবস্থার রোগীদের জীবিত থাকার সম্ভবনা খুবই ক্ষীণ। তারপরও আমাদের চেষ্টার ত্রুটি রাখছি না।

শনিবার (০৬ এপ্রিল) ফেনীর সোনাগাজী পৌর শহরের ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসাস্থ আলিম পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেতর তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে নুসরাতকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া যায়।

ছাত্রীর ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান গণমাধ্যমকে জানান, শনিবার সকালে আরবি প্রথমপত্র পরীক্ষা ছিল। তিনি বোনকে নিয়ে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে যান। ওই সময় কয়েকজন ছাত্র ও অফিস সহকারী মো. মোস্তফা তাকে মাদ্রাসায় ঢুকতে বাধা দেন। পরে তিনি বোনকে দিয়ে চলে যান।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার পক্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থী নুসরাতকে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে যান। তারা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তুলে নিতে তাকে চাপ দেন। এ সময় তিনি কিছু না বলায় তিনজন শিক্ষার্থী তার হাত ধরে, একজন তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যান। তার চিৎকারে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠান হয়।

গত ২৭ মার্চ ওই ছাত্রীকে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় নিজের কক্ষে ডেকে নিয়ে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা শ্লীলতাহানি করেন অভিযোগে মামলা হয়েছে। ওই মামলায় অধ্যক্ষ এখনো কারাগারে আছেন। ঘটনার পর থেকে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ অধ্যক্ষের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন। আরেকটি অংশ অধ্যক্ষের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন।

আরএম/টিএফ