প্রকৃতির সান্নিধ্যে ভিন্ন আবহে বাংলা নববর্ষকে বরণ করলো সিঙ্গাপুর প্রবাসী বাঙালিরা। বাংলাদেশ হাই কমিশন, সিঙ্গাপুর এর আয়োজনে ল্যাবরাডর নেচার রিজার্ভ পার্ক এর উন্মুক্ত মঞ্চে বর্ষবরণের আয়োজন করা হয়। নববর্ষকে স্বাগত জানাতে অনুষ্ঠানস্থল ঐতিহ্যবাহী আল্পনা ও নকশা অঙ্কিত বোর্ড দ্বারা সজ্জিত করা হয়।
সিঙ্গাপুর প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা বর্ণিল পোশাকে সজ্জিত হয়ে অনুষ্ঠানে যোগ দেন। দুই শতাধিক অতিথির অংশগ্রহণ এবং উৎসবের আমেজ পার্কে ভ্রমণ করতে আসা বিদেশি দর্শকদের বাংলা সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী করে।
সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং তার সহধর্মিণী মিসেস তানজিনা বিনতে আলমগীর অতিথিদের স্বাগত জানান এবং নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। হাই কমিশনার তার সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বক্তব্যে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানকে বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি ইউনেস্কো কর্তৃক বাংলা নববর্ষ পালনের অন্যতম প্রধান অনুসঙ্গ ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’কে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দান বাংলা সংস্কৃতিকে বিশ্ব দরবারে উচ্চ স্থানে প্রতিষ্ঠিত করেছে বলে অভিমত প্রকাশ করেন। স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে এবং বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র সহযোগে অনুষ্ঠানে লোকগীতি, দেশাত্ববোধক গান ও জাগরণী সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। হাই কমিশনার এবং তাঁর সহধর্মিনী অতিথিদের বাংলাদেশি খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করেন।
বৈশাখে খাবারের তালিকায় পান্তাভাত, খিচুড়ি, রুই মাছ, বিভিন্ন পদের মাংস, ভর্তা, ভাজি, রকমারী পিঠা, পায়েস, মিষ্টান্ন, ঝাল মুড়ি, খই, মোয়া, জিলাপী, পান-সুপারী সহ আরও কয়েকটি পদ ছিল।
জেড এইচ/বিএস