• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০১৯, ০৭:৪২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২০, ২০১৯, ০৭:৪২ পিএম

গরমের সাজ

গরমের সাজ

ষড় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ । এদেশেরে উপর দিয়ে চলে গেছে কর্কট ক্রান্তি রেখা । তাই এখানের আবহাওয়া নাতিশীতোষ্ণ। তবে গ্রীষ্মকালে গরওেমর হাত থেকে রক্ষা  সাজ-গোজের দিকে একটু নজর দিলেই হয়।পেতে মেকাপের আগে ত্বককে মেকআপের উপযোগী করে তুলতে হবে। তবেই ভালোভাবে বসবে বেইস। মুখটা খুব ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে-মুছে প্রথমেই ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।অয়েল ফ্রি ময়েশ্চারাইজার ভালো। ত্বকে দাগ, রিংকেল নিষ্প্রাণ হলে মেকআপের আগে প্রাইমার লাগিয়ে নিন। এতে মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী হবে। তৈলাক্ত ও মিশ্র ত্বকের জন্য ম্যাটিফায়িং প্রাইমার আর শুষ্ক ত্বকে স্মুথেনিং বা টিন্টেড প্রাইমার লাগান। আর পার্টি মেকআপের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ব্রাইটেনিং প্রাইমার। একইভাবে ঠোঁট ও চোখের মেকআপে নিখুঁত ভাব ফুটিয়ে তুলুন আই ও লিপ প্রাইমার দিয়ে।

অফিসে বা ক্লাসে

 আমাদের বেড়াতে যেতে হয় বিভিন্ন জায়গায়। বন্ধু-বান্ধবের সাথে সামাজিক জীবন কাটাতে চাই মননশীল সাজ। যেমন অফিসে কিংবা ক্লাসে সহজ ও স্বাভাবিক সাজই ভালো। তবে রোদ পেরিয়ে যেতে এ সময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করা খুবই জরুরি। এসপিএফ ২০-৪৫ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। ত্বকের দাগছোপ ঢাকতে ব্যবহার করুন কনসিলার। ত্বকের রঙের চেয়ে এক শেড হালকা কনসিলার ব্যবহার করুন। ফাউন্ডেশনের ক্ষেত্রেও তাই। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য পাউডার বেইসড এবং শুষ্ক ত্বকের জন্য দরকার লিকুইড বা ক্রিম ফাউন্ডেশন কিংবা টিনটেড ময়েশ্চারাইজার। ভ্রু-পেনসিল ব্যবহার না করে ব্রাশ দিয়ে ভ্রুটা সুন্দর করে শেপ করে নিন। অফিসে আইশেড বা লিপস্টিকে উজ্জ্বল রং এড়িয়ে চলাটাই ভালো। চোখসাজে ঘন করে কাজল দিন। হালকা সোনালি বা বাদামি রঙের শ্যাডো ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ দিনে নিতে পারেন লাইট ব্লু, পার্পল, গোল্ড, সিলভার ও ব্রাউন শেডের কালারগুলো। ব্লাশন ব্যবহার না করে কনট্যুর করে চিকবোনটা একটু ডার্ক করে নিতে পারেন। না করলেও মন্দ দেখাবে না। লিপগ্লসই আদর্শ অফিসে। প্রথমে দুই ঠোঁটে ভালো করে বাম লাগিয়ে তারপর লিপগ্লস লগিয়ে নিন। অফিস বা ক্লাসে সাধারণত এসি ঘরেই হয়। এসির ঠাণ্ডা বাতাস ত্বকের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। অফিসে এক সেট ময়েশ্চারাইজার, সানস্ক্রিন ও লোশন রাখুন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে ঠোঁটে ভ্যাসলিন বা গ্লস লাগিয়ে নিন।

দিনের দাওয়াতে

দিনের বেলা  কোন আমন্ত্রনে যেতে হলে সাজটা সাধারন করাই ভালো। এজন্য প্রথমে ময়েশ্চারাইজার ও সানস্ক্রিন লাগিয়ে তারপর ফাউন্ডেশন লাগান। মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী হবে। ত্বক শুষ্ক হলে আগে বিবি বা সিসি ক্রিম লাগিয়ে তারপর ফাউন্ডেশন লাগান। চেহারার গড়ন অনুযায়ী প্রয়োজনমতো কনট্যুরিং করুন। নাক একটু টিকোলো দেখানোর জন্য নাকের দুই পাশে গাঢ় শেডের কনসিলার দিয়ে ওপরে লম্বা করে হালকা শেডের কনসিলার দিন। সবার জন্যই মুখের টি-জোন হচ্ছে হাইলাইটেড জোন। নাকের দুই পাশ এবং কপালের দুই পাশ কিছুটা ডার্ক করে নিন। এতে টিজোনকে হাইলাইট করা সহজ হবে। ত্বক যা-ই হোক, ফেস পাউডার দিয়ে শেষ করুন বেইস মেকআপ।

আইভ্রুয়ের ঠিক নিচের অংশে সিলভার, সাদা বা হালকা সোনালি হাইলাইটার ব্যবহার করুন। আইশ্যাডো দেওয়ার ক্ষেত্রে মাথায় রাখতে পারেন চলতি কোনো ট্রেন্ড বা পছন্দসই কোনো শেড। কয়েক দফা মাশকারা লাগান চোখে। চোখের পাতা ঘন দেখালে আরো আর্কষণীয় লাগবে চোখটা। যাঁরা কাজল ও আইলাইনার পছন্দ করেন, তাঁরা চোখ টেনে দিতে পারেন। ম্যাট লিপস্টিক পরুন। লিপগ্লসও বাদ দিন। খুব বেশি উজ্জ্বল রং চাইলে প্রথমে লিপস্টিক দিয়ে তার ওপর ন্যাচারাল লিপগ্লস দিন।আইভ্রুয়ের ঠিক নিচের অংশে সিলভার, সাদা বা হালকা সোনালি হাইলাইটার ব্যবহার করুন। আইশ্যাডো দেওয়ার ক্ষেত্রে মাথায় রাখতে পারেন চলতি কোনো ট্রেন্ড বা পছন্দসই কোনো শেড। কয়েক দফা মাশকারা লাগান চোখে। চোখের পাতা ঘন দেখালে আরো আর্কষণীয় লাগবে চোখটা। যাঁরা কাজল ও আইলাইনার পছন্দ করেন, তাঁরা চোখ টেনে দিতে পারেন। ম্যাট লিপস্টিক পরুন। লিপগ্লসও বাদ দিন। খুব বেশি উজ্জ্বল রং চাইলে প্রথমে লিপস্টিক দিয়ে তার ওপর ন্যাচারাল লিপগ্লস দিন।

রাতের  সাজ

 রাতের সাজ সহজ হওয়াই ভালো। বিশেষত যারা ন্যাচারাল মেকআপ পছন্দ করেন, প্যানকেক এড়িয়ে চলুন। মাশকারা দিয়ে শেষ করুন চোখের সাজ। কয়েক কোট মাশকারা লাগান। ব্লাশনের পালা এবার। গোলাপি, পাম বা স্ট্রবেরি লাল ব্লাশন ফর্সা ত্বকের সঙ্গে খুব ভালো মানায়। আর যাদের গায়ের রং কালো তাদের জন্য কোরাল অথবা পিচ রঙা ব্লাশন আদর্শ। ব্লাশন ব্যবহারের ক্ষেত্রে গালের মানানসই জায়গাটা বেছে নেওয়াও খুব জরুরি। চেহারার গঠন মেনে তবেই এটি ব্যবহার করা উচিত। মুখ গোলাকার হলে গালের পাশে চিকবোন 'সি' শেপের মতো করে ব্লাশন লাগান। এতে মুখটা চাপা দেখাবে। চারকোনা যাদের মুখ, তারা চোখের নিচ বরাবর গালের ওপর থেকে চিকবোনের শেষ পর্যন্ত ব্লাশন লাগান। তারপর গাল, কপাল এবং চিনে ব্লাশন লাগিয়ে নিন। ডিম্বাকার মুখে চিকবোনের সবচেয়ে বেশি সুস্পষ্ট জায়গা থেকে ব্লাশন দিয়ে কানের পাশের জুলফি পর্যন্ত টেনে নিন। শুধু গালেই নয়, রাতের মেকআপে দ্যুতি ছড়াতে কপাল, টেম্পল এবং ব্রাও বোনে হালকা করে বুলিয়ে নিতে পারেন ব্লাশন। সবশেষে মুখের হাইলাইটেড জোনে শিমার বা শাইনি পাউডার বুলিয়ে নিন। রাতের পার্টিলুক পাবেন পুরোপুরি।এবার কমপ্যাক্ট পাউডার দিয়ে বেইস শেষ করুন। রাতের অনুষ্ঠানে চোখের সাজকে গুরুত্ব দিন। চোখ সাজাতে হবে চোখের শেপ অনুযায়ী। প্রথমে আইভ্রু এঁকে নিন। ভ্রু সেট করার জন্য ব্রাশে কিছুটা জেল বা হেয়ার স্প্রে দিতে পারেন। এবার শ্যাডো। পোশাকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে শ্যাডো বেছে নিন। একটু গ্লসি শ্যাডো রাতে যোগ করবে বাড়তি চমক। সোনালি-রুপালি শ্যাডোতে সাজ হয়ে উঠবে আকর্ষণীয় আর জমকালো। শ্যাডো লাগানোর ক্ষেত্রে স্পঞ্জ বা ব্রাশ ব্যবহার করতে পারেন। আঙুল দিয়েও কাজ সেরে নেওয়া যাবে। গাঢ় করে লাইনার দিন। চাইলে স্মোকি সাজ দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ঠোঁটে হালকা রঙের লিপস্টিক ভালো মানাবে। আর ডার্ক লিপস্টিক চাইলে চোখের সাজটা একটু নিয়ন্ত্রণেই রাখুন।