• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০১৯, ০৯:৫৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ২৬, ২০১৯, ১০:১৭ পিএম

রাজধানীতে নির্মিত হচ্ছে রাজাকারদের নামসহ ঘৃণাস্তম্ভ

রাজধানীতে নির্মিত হচ্ছে রাজাকারদের নামসহ ঘৃণাস্তম্ভ
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক

রাজাকারদের নাম সম্বলিত ঘৃণাস্তম্ভ নির্মাণ করতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এই দেশের বিশ্বাস ঘাতক রাজাকারদের নামে ঘৃণাস্তম্ভ নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে। ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে এ কাজ শুরু হয়ে আগামী ১৬ ডিসেম্বর আগেই এ স্তম্ভের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হবে। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে এই রাজাকারদের ঘৃণাস্তম্ভে থুথু ছিটিয়ে ও জুতা মেরে এ কাজের উদ্বোধন করা হবে। 

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

এ তথ্যের সত্যতা স্বীকার করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে তার দফতরে গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন,স্বাধীনতার পর দীর্ঘ দিনেও রাজাকারদের চূড়ান্ত তালিকা হয়নি। রাজাকারদের ঘৃণা দেয়া এবং রাজাকারদের কার্যক্রলাপ সম্পর্কে নতুন প্রজন্মের সকলকে অবহিত করার জন্যই আমাদের এই প্রয়াস। আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে এই স্তম্ভ নির্মাণ সম্পন্ন এবং উদ্ভোধন করার প্রত্যাশা করছি।
    
এ বিষয়ে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির (ঘাদানি) প্রধান শাহরিয়ার কবির বলেছেন, রাজাকারদের নামের তালিকা নিয়েও বিভ্রান্তি রয়েছে। এ তালিকা চুড়ান্ত করার পরই এদের বিশ্বাসঘাতকতাসহ অন্যান্য কার্যকলাপ নতুন প্রজন্মের সকল স্তরে জানান দেয়া উচিত। এ কাজে আমাদের সকল ধরনের সহযোগিতা থাকবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।   

মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা ও গণহত্যাকারী রাজাকার, আল বদর ও আল সামসের তালিকা তৈরির কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, এই তালিকা অবশ্যই জাতির সামনে প্রকাশ করা হবে।

রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এ কথা জানান।
 
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে জামায়াত রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরোধিতা ও গণহত্যা, ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল। এদের একটি তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ছিল। কারণ তাদের রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে ভাতা দেওয়া হতো। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর নিজামী-মুজাহিদরা সেই তালিকা খালেদা জিয়ার সহযোগিতায় সরিয়ে ফেলে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের সেই বিরোধিতাকারী রাজাকার, আল বদর, আল সামসের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছি। জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তালিকা তৈরি করে পাঠাতে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর এই ৪৮ বছরে অনেক পট-পরিবর্তন হয়েছে। আমরা চাই না নিরপরাধ কারো নাম জড়িত হোক। আমরা রাজাকার, আল বদর, আল সামসের সঠিক তালিকা প্রকাশের কাজ করছি। অবশ্যই রাজাকার, আল বদর, আল সামসের তালিকা জাতির সামনে প্রকাশ করা হবে।

এইচ এম/বিএস