• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২২, ২০১৯, ০৫:৪৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২২, ২০১৯, ১১:৫১ পিএম

শ্রীলঙ্কায় বোমা হামলা

জায়ানের শূন্যতায় শোকে মুহ্যমান বঙ্গবন্ধু পরিবার

জায়ানের শূন্যতায় শোকে মুহ্যমান বঙ্গবন্ধু পরিবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জায়ান চৌধুরী - ছবি

জায়ানের শূন্যতায় শোকে মুহ্যমান বঙ্গবন্ধু পরিবার। জায়ানের আকস্মিক চলে যাওয়া কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না গোটা পরিবারের সদস্যরা। ব্রুনাইতে জায়ানের মৃত্যুর খবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেঁদেছেন। তার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর বনানীর বাসা, গোপালগঞ্জসহ সকল নিকটাত্মীয়ের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চলছে শোকের মাতম।

জানা গেছে, শ্রীলঙ্কায় গির্জা এবং হোটেলে ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলায় বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্য এবং আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিমের নাতি জায়ান নিহত হয়েছে। তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৮ বছর। সাবেক মন্ত্রী শেখ সেলিম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বোনের ছেলে। সেই সূত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুপাতো ভাই। তাই ছোট্ট জায়ান প্রধানমন্ত্রীরও নাতি।

পারিবারিক নানা অনুষ্ঠান ছাড়াও বিভিন্ন সময় জায়ানের সঙ্গে দেখা হতো প্রধানমন্ত্রীর। তাকে দাদু বলে ডাকতো শিশু জায়ান। আদুরে জায়ান প্রধানমন্ত্রীকে দেখলেই জড়িয়ে ধরতো। মায়াবী এই শিশুটির মৃত্যুতে কাঁদছে গোটা বঙ্গবন্ধু পরিবার। স্তব্ধ পুরো পরিবার। তার মৃত্যুর খবরে বর্তমানে ব্রুনাই সফরে থাকা প্রধানমন্ত্রী চোখের পানি আটকে রাখতে পারেননি। শেখ সেলিমের বনানীস্থ ২/এ রোডের ৯ নং বাসভবনে চলছে শোকের মাতম। দেশের বিভিন্ন স্তরের মানুষ সমবেদনা জানানোর জন্য সেখানে ভিড় করছেন।
 

শ্রীলঙ্কায় সিরিজ হামলার পরপরই প্রধানমন্ত্রী এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে শোক প্রকাশ করেছিলেন। এর কিছুক্ষণ পরই তিনি জানান, তার পরিবারের সদস্যরাও এই ঘটনায় আক্রান্ত। হামলার পর পর শিশু জায়ান নিখোঁজ ছিল। কিন্তু পরে জানা যায়, এ বিস্ফোরণে সে মৃত্যুবরণ করেছে। এই খবরটি শোনার পরই প্রধানমন্ত্রী বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। আবেগাপ্লুত হয়ে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন বলে জানা যায়।

প্রসঙ্গত, গতকাল রোববার (২১ এপ্রিল) শ্রীলঙ্কার প্রধান প্রধান গির্জা ও হোটেলে সিরিজ বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। শেখ সেলিমের মেয়ে, জামাতা ও তাদের ২ বাচ্চা শ্রীলঙ্কায় ভ্রমণে গিয়েছিলেন। সকালে যখন হামলা চালানো হয় তখন শেখ সেলিমের জামাতা মশিউল হক চৌধুরী প্রিন্স ও নাতি জায়ান একটি হোটেলে নাস্তা করছিলেন। হামলার পর মশিউল হক চৌধুরী প্রিন্সকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু শিশু জায়ানের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।

প্রধানমন্ত্রী নিজেই এ খবর জানিয়ে বলেন, বাচ্চাটার এখনও কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছে না। যে সে কোথায় আছে। আপানারা একটু দোয়া করেন, যেন ওকে পাই। কিন্তু সবার দোয়া বিফল করে দিল ছোট্ট জায়ান। তার মৃত্যুতে এখন ব্রুনাই সফররত প্রধানমন্ত্রী এবং তার সফরসঙ্গীদের মাঝে শোক বিরাজ করছে।

এইচ এম/ একেএস