• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২২, ২০১৯, ০৮:০০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২২, ২০১৯, ০৮:০০ পিএম

‘বাংলাদেশের শরীর থেকে বিএনপি নামক ক্যান্সার সরিয়ে ফেলতে হবে’

‘বাংলাদেশের শরীর থেকে বিএনপি নামক ক্যান্সার সরিয়ে ফেলতে হবে’

আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি বাংলাদেশে ক্যান্সার কিংবা বিষফোঁড়া। তাদের বাংলাদেশের শরীর থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে। বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ফেডারেশ স্টেট বানানোর যে প্রক্রিয়া ছিল তার অংশ হিসেবেই বিএনপির জন্ম হয়েছে বলেও এ সময় এমন মন্তব্য করেন তিনি। 

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটউশনে ১৪ দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে ওই সভার আয়োজন করা হয়।
  
বিএনপি বাংলাদেশের শরীরে ক্যান্সার কিংবা বিষফোঁড়া মন্তব্য করে হানিফ বলেন, যত দিন এই বিষফোঁড়া আমাদের শরীরে থাকবে। ততদিন দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও চলার ক্ষেত্রে বার বার আঘাত আসবে। দেশ বার বার হোঁচট খাবে। 
 
সভায় আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, বিএনপি কখনোই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ছিল না, বিশ্বাসও করে না। বিএনপি নামক অশুভ শক্তির এই দল, একাত্তরের পরাজিত শক্তি। তাদের লক্ষ্যই হচ্ছে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা।
 
তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে বহু ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। এই জাতীয়তাবাদী শক্তির যারা দাবীদার, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী এই কুচক্রী খুনি জিয়াউর রহমানের সেই দল। ৭৫ সালের পর ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিনত করতে চেষ্টা করেছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্বকে নিয়েও তারা ষড়যন্ত্র চালিয়েছে। 

১৪ দলের মুখপাত্র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম,  জাসদের (একাংশ) সভাপতি শরীফ নূরুল আম্বিয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আক্তার, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড দিলীপ বড়ুয়া, গনতন্ত্রি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেন, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান প্রমুখ।   

এএইচএস/এসএইচএস