• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২০, ০৭:৩৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৮, ২০২০, ০৭:৩৩ পিএম

পর্যটক বাড়ছে খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্রে

পর্যটক বাড়ছে খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্রে

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা প্রাণ ফিরে পাওয়ার ফলে পর্যটকের আগমন বাড়ছে জেলার ৯টি পর্যটন কেন্দ্রে। কক্সবাজার-রাঙ্গামাটি-বান্দরবানের পর এবার স্বত:স্পুর্তভাবে প্রাণ ফিরে পেয়েছে সবুজ অরণ্যে ঘেরা খাগড়াছড়ির সব পর্যটন কেন্দ্রগুলো। 

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ ছয় মাসেরও অধিক বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর গত শুক্রবার (২৮ শে আগস্ট) পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে খাগড়াছড়ির অন্যতম প্রধান চারটি পর্যটন কেন্দ্র অন্যান্য দর্শনীয় স্থান। খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্র গুলো খুলে দেয়ার খবরে স্থানীয়দের পাশাপাশি খাগড়াছড়িতে দেশী-বিদেশী আসতে শুরু করেছেন ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরা। দীর্ঘ ছয় মাস বন্ধ থাকার পর পর্যটন কেন্দ্র গুলো খুলে দেয়ায় পর্যটকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস অন্যরকম ভাবে দেখা গেছে। পর্যটকদের আগমনে বুকিং বেড়েছে হোটেল-মোটেলগুলোতে। 

অর্থনীতির চাকা ঘুরতে শুরু করেছে স্থানীয় চাঁদের গাড়ির চালকদেরও। দর্শনার্থীদের প্রবেশের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধানসহ খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছয়টি শর্ত বেঁধে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে স্যানিটাইজার অথবা সাবান দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করা, অসুস্থ অবস্থায় পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ না করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও পর্যটন কর্পোরেশনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অন্যতম। 

দীর্ঘদিন পর পর্যটন কেন্দ্র গুলো খুলে দেয়ায় পর্যটকদের মধ্যে আনন্দ দেখা গেলেও করোনা সংক্রমণ এড়াতে মাস্ক পরা, হাত জীবাণুমুক্ত করাসহ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে ছয়টি শর্ত দেয়া হয়েছে তা মানছেন না অনেকেই। স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে প্রচারণা অব্যাহত না থাকায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে গত ২৩ আগস্ট খাগড়াছড়ি জেলা করোনাভাইরাস বিষয়ক কমিটির সভা শেষে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে ছয় শর্তে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ পার্ক, রিছাং ঝর্ণা, আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র ও মায়াবিনী লেক সীমিত পরিসরে খুলে দেয়ার ঘোষণা দেন। উল্লেখ্য, গত ৮ই মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়ার পর ১৮ই মার্চ থেকে সারাদেশের ন্যায় খাগড়াছড়ির সব পর্যটন কেন্দ্র অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে স্থানীয় জেলা প্রশাসন। একই সময় থেকে রাঙ্গামাটির সাজেক পর্যটন কেন্দ্রও বন্ধ রয়েছিল।