• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: মে ৫, ২০২১, ০৩:০০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৫, ২০২১, ০৩:১৩ পিএম

মুক্তিপণ না পেয়ে ভাগনেকে খুন

মুক্তিপণ না পেয়ে ভাগনেকে খুন

সিদ্ধিরগঞ্জে মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে চাচাতো বোনের ছেলেকে খুন করেছে সুজন (২৮) নামের এক যুবক।

এ ঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। আসামির দেওয়া তথ্যমতে, বুধবার (৫ মে) ভোরে জালকুড়ি তালতলা এলাকার মাদবর বাজারসংলগ্ন বিলের ডোবা থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় শিশুটির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এর আগে গত ২৪ এপ্রিল বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল শিশু রিয়াদ (৭)। ২৮ এপ্রিল একটি মোবাইল নম্বর থেকে রিয়াদের বাবার কাছে ফোনে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিন রিয়াদের বাবা সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় জিডি করেন।

মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে এবং রিয়াদের বাবার সন্দেহের ভিত্তিতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার তদন্ত কর্মকর্তা সাইফুল এবং উপপরিদর্শক (এসআই) শওকত তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত সুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

জিজ্ঞাসাবাদে রিয়াদকে হত্যার কথা স্বীকার করেন এবং লাশের সন্ধান দেন সুজন। রিয়াদকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের।

পুলিশ জানায়, ২৪ এপ্রিল শিশু রিয়াদকে অপহরণ করেন সুজন। ওই দিন রাতেই তাকে হত্যার পর লাশটি গুম করার উদ্দেশ্যে জালকুড়ি এলাকার বিলে একটি ডোবায় পানিতে ভাসমান জঙ্গলের নিচে লুকিয়ে রাখে তিনি। আটককৃত আসামি জালকুড়ির একটি রোলিং মিলে কাজ করতেন এবং চর সুমিলপাড়া এলাকায় বাসিন্দা। অপর দিকে শিশু রিয়াদের পরিবার মুনলাইট এলাকায় করিম মিস্ত্রির বাড়ির ভাড়াটিয়া।

রিয়াদের বাবা দিনমজুর রাজু জানান, তার পরিবার এবং অভিযুক্ত আসামি উভয়ের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধায়। কর্মসূত্রে তারা সিদ্ধিরগঞ্জে ভাড়াটিয়া হিসেবে আলাদা আলাদা ঠিকানায় বসবাস করেন।

রাজু আরও বলেন, “নিখোঁজের দিন বিকেলে ভায়রা সুজন আমার দুই ছেলেকে দোকান থেকে কেক কিনে দেওয়ার জন্য নিয়ে যান। পরে আমার দুই ছেলে কেক নিয়ে বাসায় আসে এবং আমার বড় ছেলে রিয়াদ আবার বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ হয়। আমরা তাকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে শুরু করি। আমাদের সঙ্গে সুজনও খোঁজ করেন। সুজন মাইক ভাড়া করে মাইকিংও করেন। পরে অন্য একটি অপরিচিত ব্যক্তির ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর থেকে ফোন আমার কাছে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। কণ্ঠ শুনেই সুজনকে আমার সন্দেহ হয়। আমি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে বিষয়টি জানাই।”

নারায়ণগঞ্জ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মেহেদী ইমরান সিদ্দীকি বলেন, “মুক্তিপণ দাবি করা মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সুজন নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শিশু রিয়াদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।”