• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ৪, ২০২১, ০১:৪০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৪, ২০২১, ০১:৪০ পিএম

সংযুক্ত মোর্চার বিবৃতি

সিপিআইএম অফিসে হামলার অভিযোগ

সিপিআইএম অফিসে হামলার অভিযোগ

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস। বিধানসভা নির্বাচনে ২১৩ আসনে জয়লাভ করেছে দলটি। এদিকে নির্বাচনের ফলাফলের পর রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে হামলা ও ভাঙুরের খবর পাওয়া গিয়েছে। নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ১৫ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার।

এদিকে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বামপন্থী দলগুলোর জোট সংযুক্ত মোর্চা। তাদের অভিযোগ, নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় এরই মধ্যে তাদের কর্মী নিহত হয়েছেন, ভাঙচুর করা হয়েছে অফিস। এছাড়া তৃণমূল ও বিজেপি রাজ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার সৃষ্টি করছে। 

সংযুক্ত মোর্চার বিবৃতিতে বলা হয়, ২ মে নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশের সময় থেকে তৃণমূল কংগ্রেস পুনরায় নতুন ক‍‌রে সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপ শুরু করেছে। রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে এই নৃশংস আক্রমণে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বর্ধমানের জামালপুরে তৃণমূলের সন্ত্রাস প্রতিহত করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন সিপিআই(এম)’র কর্মী কাকলী ক্ষেত্রপাল। উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে তৃণমূলের আক্রমণে নিহত হয়েছেন আইএসএফ কর্মী হাসানুজ্জামান। 

উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে কেনিয়া খামারপাড়ায় প্রায় ১০টি বাড়ি তৃণমূল দুষ্কৃতীরা ভাঙচুর করেছে। তাতে ৫১ জন ঘরছাড়া হয়েছেন। এছাড়া‍‌ বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল-বিজেপি’র বিরোধ ও সংঘর্ষ সাম্প্রদায়িক রূপ পরিগ্রহ করছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ক্যানিং-পূর্ব বিধানসভার মৌলী মুকুন্দপুর গ্রামে সশস্ত্র তৃণমূলী হামলায় মোট তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, রাজ্যের সর্বত্র নতুন করে সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ সৃষ্টির জন্য তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি তৎপর হয়ে উঠেছে। আমরা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড, হামলা ও সাম্প্রদায়িক বিরোধে ইন্ধন দেওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি এবং অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। এইসব সন্ত্রাসমূলক ও সাম্প্রদায়িক ঘটনাবলীর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে এবং সর্বত্র শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষা করার জন্য সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবিলম্বে শান্তি-শৃঙ্খলার প্রতিষ্ঠায় তৎপরতা এবং দৃঢ়হস্তে দুষ্কৃতীদের দমন করার দাবি জানাচ্ছি।