• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: মে ৪, ২০২১, ১০:২৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৫, ২০২১, ০১:৩৭ এএম

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় হেফাজতের আট নেতার চার দাবি

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় হেফাজতের আট নেতার চার দাবি

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে হেফাজতে ইসলামের আট নেতা মন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে যান।

মঙ্গলবার রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে ধানমন্ডিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে সেখানে যান তারা। এসময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানও উপস্থিত থাকেন।

সাড়ে তিন ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে সংগঠনটির পক্ষ থেকে ৪টি দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো— হেফাজতে ইসলামের গত আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে গ্রেপ্তার হওয়া আলেম-ওলামা ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া; আলেম-উলামা এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের গ্রেপ্তার-হয়রানি আতঙ্ক থেকে মুক্তি দেওয়া; ২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের নামে যে মামলাগুলো হয়েছে পূর্ব আলোচনা অনুযায়ী এ সেগুলো প্রত্যাহার করা; দ্রুত কওমি মাদরাসাগুলো খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা।

বৈঠক শেষ হেফাজতের আহ্বায়ক কমিটির মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদী বলেন, আমাদের দাবিগুলো মন্ত্রীকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। তিনি আমাদের কথা শুনেছেন, আশ্বাসও দিয়েছেন।

এ সময় নুরুল ইসলাম জিহাদীর নেতৃত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজী, মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি জসিমউদ্দিন প্রমুখ।

গত রোববার রাতেও হেফাজতের সাবেক দুই যুগ্ম মহাসচিব মাঈনুদ্দীন রুহী ও মুফতি ফয়জুল্লাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার সরকারি বাসভবনে সাক্ষাৎ করেছিলেন।

এর আগে ১৯ এপ্রিল রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম, হেফাজতের নায়েবে আমির মাওলানা মাহফুজুল হক, হেফাজতের নেতা ও খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী ও তার ভাতিজা মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজীসহ ছয় থেকে সাতজন। পরে হেফাজতের ওই কমিটি বাতিল ঘোষণা করা হয়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও সহিংসতার ঘটনার পর হেফাজতে ইসলামের ওপর কঠোর অবস্থান নেয় সরকার। মাসখানেক ধরে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের গ্রেপ্তার করে। এরপর একাধিকবার হেফাজত নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গ্রেপ্তার বন্ধের দাবি জানিয়েছিলেন।