• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০১৮, ০৮:৫০ এএম

জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে হাতিরঝিলের ওয়াটার ট্যাক্সি

জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে হাতিরঝিলের ওয়াটার ট্যাক্সি
রাজধানীর হাতিরঝিলে ওয়াটার ট্যাক্সি থেকে নামছেন যাত্রীরা -ছবি : কাশেম হারুন

 

জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে হাতিরঝিল ওয়াটার ট্যাক্সি সার্ভিস।  শুরুতে চারটি দিয়ে শুরু হলেও বর্তমানে ১৫টি ওয়াটার ট্যাক্সি চলছে হাতিরঝিল ওয়াটার ট্যাক্সি সার্ভিসে। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে এই সার্ভিস শুরু করা হয়।

ওয়াটার ট্যাক্সি সার্ভিসের সিনিয়র সহকারী ম্যানেজার মো. আনোয়ারুল ইসলাম জাগরণকে জানান, প্রতিদিন গড়ে ২ থেকে আড়াই হাজার টিকিট বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচল করে। ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে জনপ্রতি ১৫ টাকা ভাড়ায় পুলিশ প্লাজা থেকে রামপুরা ব্রিজ পর্যন্ত নতুন রুট চালু করা হয়।  গুলশান-১, গুদারাঘাট, রামপুরা ব্রিজ, মেরুল, এফডিসি মোড় সংলগ্ন ঘাটের পর নতুন করে পুলিশ প্লাজা থেকে রামপুরা ব্রিজ পর্যন্ত করা হয়। 

রামপুরা ব্রিজ সংলগ্ন ঘাট থেকে গুলশান-১ নম্বর গুদারঘাট পর্যন্ত ভাড়া ২০ টাকা, আগে ছিল ২৫ টাকা।  রামপুরা ব্রিজ থেকে এফডিসি ঘাট পর্যন্ত ৩০ টাকা।  গুদারাঘাট থেকে এফডিসি পর্যন্ত ৩০ টাকা ভাড়ায় যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারেন। 

মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) সকালে হাতিরঝিল ঘাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,  যাত্রীদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। বেশ শৃঙ্খলিতভাবে যাত্রীরা টিকিট সংগ্রহ করে ওয়াটার ট্যাক্সিতে উঠছেন।  ঘাট দেখাশোনায় রয়েছে সার্বক্ষণিক পোশাকধারী কর্মী। প্রতিটি ঘাট খুবই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন।

হাতিরঝিল সমন্বিত প্রকল্পের পরিচালক জামাল আক্তার জাগরণকে বলেন, হাতিরঝিলের ওয়াটার ট্যাক্সির প্রতি আমরা যথেষ্ট যত্নবান। এটা বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

এফডিসি ঘাট থেকে রামপুরার নিয়মিত যাত্রী ব্যবসায়ী হারুন অর রশিদ। জাগরণকে তিনি বলেন, রামপুরা যেতে ওয়াটার ট্যাক্সি সার্ভিসই এখন আমার ভরসা। সড়কপথে যেতে ইচ্ছে করে না যানজটের কারণে।

গুলশান লেকের ঘাট থেকে এফডিসি ঘাটে যেতে ওয়াটার ট্যাক্সিতে উঠছিলেন শিক্ষক আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, এ পথে কোনো যানজট নেই, প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করা যায়। এজন্য এই সার্ভিস ব্যবহার করে যাচ্ছি। তবে মাঝে-মধ্যে পানি থেকে দুর্গন্ধ আসে। 

প্রকল্প পরিচালক জামাল আক্তার জাগরণকে বলেন, পানির দুর্গন্ধ দূর করতে আমাদের কাজ অব্যহত আছে।

আরএম/ বিএস / এফসি