• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১, ২০১৯, ১০:০৬ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১, ২০১৯, ০৪:১৬ পিএম

সাক্ষাৎকারে এলজিআরডি মন্ত্রী

ব্যবহারযোগ্য পানিই সরবরাহ করছে ওয়াসা 

ব্যবহারযোগ্য পানিই সরবরাহ করছে ওয়াসা 
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম

‘ঢাকা ওয়াসা রাজধানীতে ব্যবহারযোগ্য পানিই সরবরাহ করছে। এই পানি সরবরাহের পর কয়েকটি ধাপে তা মানুষের কাছে গিয়ে পৌঁছায়। এ কারণে ওয়াসার পানি কোথাও কোথাও ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে থাকতে পারে। তবে এ নিয়ে ঢালাওভাবে অভিযোগ ঠিক নয়। কোনো ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
 
দৈনিক জাগরণের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
 
১৭ এপ্রিল ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ (টিআইবি) তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, ওয়াসার পানি বিশুদ্ধ করতে বছরে ৩৩২ কোটি টাকার জ্বালানি পুড়ছে। এর পর গত ২০ এপ্রিল ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান এক সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির এই রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করেন। তিন দাবি করেন, টিআইবির রিপোর্টের গবেষণা বিজ্ঞানসম্মত নয়। 

এর পরই মূলত রাজধানীবাসীদের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। নারিন্দাসহ কয়েকটি স্থান থেকে সাধারণ মানুষ ওয়াসার এমডিকে শরবত খাওয়াতে জগে করে ওয়াসার লাইনের পানি নিয়ে কাওরান বাজারে ওয়াসা ভবনে আসেন। তবে এদিন ওয়াসার এমডি অফিসে আসেননি।

সার্বিক বিষয় নিয়ে এলজিআরডি মন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে, ঢাকা ওয়াসা কিন্তু আমাদের সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম। ঢাকা শহরে বসবাসকারী প্রায় ২ কোটি মানুষের পানির চাহিদা মেটায়। ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যে কত শ্রম এর পেছনে দিয়ে থাকেন, তা নিয়ে কিন্তু আমরা কখনো একটু চিন্তাও করি না।
 
ঢাকা ওয়াসা রাজধানীতে ব্যবহারযোগ্য পানিই সরবরাহ করছে উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ওয়াসার সরবরাহ করা পানি কয়েকটি ধাপে রাজধানীর মানুষের কাছে গিয়ে পৌঁছে। প্রথমত, এই পানি বিভিন্ন এলাকার ওয়াসার নিজস্ব পানির ট্যাংকে পাঠানো হয়। সেখান থেকে পাইপের মাধ্যমে বিভিন্ন বাসা-বাড়ির নিচে নির্মিত রিজার্ভারে, এবং সেখান থেকে বাসা-বাড়ির নিজস্ব পাইপের মাধ্যমে বাড়ির ছাদের ট্যাংকে উঠিয়ে তা ফ্ল্যাটে ফ্ল্যাটে সরবরাহ করা হয়। অর্থাৎ ঘাটে ঘাটে হাত বদলানোর মতই ঘটনা। এভাবে ওয়াসার ব্যবহারযোগ্য পানিই কোথাও কোথাও ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে থাকতে পারে।’ 

সার্বিকভাবে ওয়াসার সরবরাহ ভালো বলে মনে করেন তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ওয়াসার পানি নিয়ে ঢালাওভাবে অভিযোগ ঠিক নয়। সমস্যা জানালে কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছুটে যান এবং সমস্যার সমাধান করেন। এর পরও যদি কোনো ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়, তবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এমএএম/ এফসি