• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: মে ২৩, ২০১৯, ০৭:৫৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২৩, ২০১৯, ০৭:৫৭ পিএম

ঈদে রাজধানীজুড়ে নিরাপত্তা বলয়

ঈদে রাজধানীজুড়ে নিরাপত্তা বলয়

ঈদুল ফিতর উদযাপন নির্বিঘ্ন ও আনন্দময় করতে রাজধানীজুড়ে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। যা কার্যকর থাকছে ঈদের পরও এক সপ্তাহজুড়ে। এ জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) আট হাজার ও র‌্যাবের পাঁচটি ব্যাটালিয়নের প্রায় দুই হাজার সদস্যকে বিভিন্ন পয়েন্টে মোতায়েন করা হচ্ছে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দারাও মাঠে থাকবেন। রেল স্টেশন, বাস ও লঞ্চ টার্মিনালগুলোয় থাকবে পুলিশের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। সেখান থেকে নিরাপত্তার বিষয়গুলো মনিটরিং করা হবে। 

এবার ঈদের নিরাপত্তা বিন্যাসে ঈদের জামাত, মার্কেটে কেনাকাটা, ছিনতাই-চাঁদাবাজি ও ঈদের ছুটিতে চুরি-এ চারটি বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। রমজানের প্রথম দিন থেকেই শুরু হয়েছে এই বিশেষ নিরাপত্তা কার্যক্রম। দ্বিতীয় পর্বে ১১ রমজান থেকে ঈদকেন্দ্রিক এ নিরাপত্তা বলয় আরও জোরদার হয়েছে। তৃতীয় ধাপে বা ২০ রমজান থেকে পূর্ণ শক্তি নিয়ে মাঠে নামছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ১০ হাজার পুলিশ-র‌্যাব সদস্য এ সময় রাজধানীর অফিস আদালত, ব্যাংক বিমা, অভিজাত মার্কেট, টার্মিনাল ও স্টেশন গুলোতে সর্তক অবস্থায় থাকবে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঈদের আগেই বড় বিপণিবিতান ও আবাসিক এলাকার প্রধান প্রবেশপথগুলো ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার আওতায় আসছে। এ ছাড়া ঈদের জামাত ঘিরে মোতায়েন হবে প্রয়োজনীয়সংখ্যক পুলিশ-র‌্যাব সদস্য। ব্যবসায়ীরা চাইলে জাল নোট শনাক্তকরণ যন্ত্র সরবরাহ করবে পুলিশ। ঈদের আগে চাঁদাবাজি-ছিনতাইসহ এ ধরনের অন্যান্য অপরাধ ঠেকাতে নেয়া হচ্ছে বাড়তি নজরদারি। ঈদের ছুটিতে ফাঁকা হওয়া ঢাকায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধে বিভিন্ন এলাকার নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে সমন্বিত নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।   

যানজট সহনীয় পর্যায়ে রাখতে রমজানের প্রথম দিন থেকেই কাজ করছে বাড়তি পুলিশ। ট্রাফিকের পাশাপাশি পুলিশের অপরাধ বিভাগের সদস্যরা নগরীর ৩৮টি পয়েন্টে বিকাল ৪টা থেকে ইফতার পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছেন। যান চলাচল পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে রাস্তায় কোনো দোকান বসতে দেয়া হচ্ছে না। গাড়ি পার্কিংয়ের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। অজ্ঞান ও মলম পার্টির তৎপরতা ঠেকাতে বাস ও লঞ্চ টার্মিনালে পুলিশের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে।

এ বিষয়ে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, ঈদ ঘিরে প্রতি বছরের মতো এবারও বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি। ঈদ মার্কেটের কেনাকাটা ও নগরবাসীর ঘরে ফেরা নিরাপদ করতেও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সচেতনতা সৃষ্টিতে প্রচার চালাবে ডিএমপি। তাৎক্ষণিক অভিযোগ বা সমস্যা জানানোর জন্য পুলিশের নিয়ন্ত্রণ কক্ষগুলোর ফোন নম্বর থাকবে সবখানে। অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এইচ এম/টিএফ