• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০১৯, ০৩:০৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৬, ২০১৯, ০৩:০৬ পিএম

‘দীর্ঘমেয়াদে ওয়াশ খাতে ব্যয়ের প্রবণতা ক্রমাগত কম হচ্ছে’

‘দীর্ঘমেয়াদে ওয়াশ খাতে ব্যয়ের প্রবণতা ক্রমাগত কম হচ্ছে’
তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্ট, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমান-ফাইল ছবি

তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্ট, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদে পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন ওয়াশ খাতে ব্যয়ের প্রবণতা ক্রমাগত কম বলে পরিলক্ষিত হয়েছে। স্থানীয় সরকার, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর (ডিপিএইচই) এবং পৌরসভায় মানব সম্পদ ও কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তহবিলের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ওয়াটারএইড, ইউনিসেফ, পিপিআরসি, ফানসা-বিডি, ডব্লিউএসএসসিসি-বি, এফএসএম নেটওয়ার্ক, স্যানিটেশন অ্যান্ড ওয়াটার ফর অল এবং ওয়াশ অ্যালায়েন্সের উদ্যোগে যৌথভাবে আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রস্তাবিত বাজেটে ওয়াশ খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য প্রশংসা করেন।

ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ২০১৯-২০ সালের জাতীয় বাজেটে পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন ওয়াশ খাতে বরাদ্দ বাড়লেও এটি টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ৬ এবং ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্য অর্জনে বিরাজমান চ্যালেঞ্জগুলো পূরণে যথেষ্ঠ নয়। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ৬ অর্জনের লক্ষ্যে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন ওয়াশ খাতে আরও ন্যায্য বরাদ্দ প্রয়োজন। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিশ্চিত করতে শহর ও গ্রামীণ এলাকার বাজেট বরাদ্দে বৈষম্য হ্রাস করাসহ দুর্গম এলাকা যেমন- পাহাড়, চর, হাওর এবং উপকূলীয় দ্বীপগুলোতো ওয়াশ বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে। মহিলা, শিশু এবং প্রতিবন্ধী এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। হতদরিদ্র ও গরিব এ দু’ধরনের জনগোষ্ঠীর কাছে নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা পৌঁছে দিতে প্রয়োজনে ভর্তুকির ব্যবস্থা করা জরুরি। পানি ও স্যানিটেশন সেক্টরের জন্য ‘সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান ২০১১-২০২৫’ এর অগ্রগতি পর্যালোচনা ও হালনাগাদ করে তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্রামীণ ও শহর এলাকার মধ্যে বৈষম্য হ্রাসের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। 

ওয়াটারএইড এবং ইউনিসেফ এর সহযোগিতায় এবং পাওয়ার ও পার্টিসিপেসন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) এর বিশ্লেষণে তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, সরকার ওয়াশ বাজেট বরাদ্দে দীর্ঘমেয়াদি ধারাবাহিকতায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞা রক্ষা করে চলেছে।

তিনি বলেন, ২০১৮-১৯ এর সংশোধিত বাজেট বরাদ্দে উল্লেখযোগ্য চিত্র দেখা যায়, যা ৬৮ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন থেকে বেড়ে ৯৫ দশমিক ৭০ বিলিয়ন টাকায় পৌঁছেছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে এই ইতিবাচক ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বরাদ্দ দাঁড়িয়েছে ১০১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন টাকায়। বিশ্লেষণে ওয়াশ বাজেটের ক্ষেত্রে ভৌগলিক বৈষম্য লক্ষ্য করা যায়। গ্রামীণ ও চর এলাকায় তীব্র চাহিদা থাকা সত্ত্বেও, নগর ও শহরগুলোতে বরাদ্দের পরিমাণ তুলনামূলক অনেক বেশি হয়ে থাকে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর (ডিপিএইচির) এর সংশোধিত বাজেট বরাদ্দ ২০১৮-১৯ সালে ২০ দশমিক ৫১ বিলিয়ন থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২৪ দশমিক ১৩ বিলিয়নে উন্নীত হয়েছে। বিশ্লেষণে আরও দেখা যায়, ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার প্রতিশ্রুতিতে এখনও বেশ অগ্রগতির সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে স্যানিটেশন প্রচারাভিযানকে টেকসই ও পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য এবং শহুরে এলাকায় সমন্বিত পানি পরিশোধন ও সরবরাহের প্রতিশ্রুতি এখনও অর্জন হয়নি।

টিএস/এসএমএম