• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০১৯, ০৭:৫২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১০, ২০১৯, ০৭:৫২ পিএম

‘নদীর পানি দূষিত থাকায় ওয়াটার বাসে যাত্রীদের আগ্রহ কম’

‘নদীর পানি দূষিত থাকায় ওয়াটার বাসে যাত্রীদের আগ্রহ কম’

দ্রুতগামী ওয়াটার বাস না থাকা এবং নদীর পানি দূষিত থাকায় যাত্রীরা ওয়াটার বাসে যাতায়তে কম আগ্রহী বলে সংসদকে জানিয়েছেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বুধবার (১০ জুলাই) টেবিলে উত্থাপিত মনজুর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে সংসদকে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ঘোষণামতে বাংলাদেশ স্থলবন্দরের সংখ্যা ২৩টি। এর মধ্যে ২২টি ভারত সীমান্তবর্তী এবং একটি মিয়ানমার সীমান্তবর্তী (টেকনাফ)। এসব স্থলবন্দর থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে (জুলাই-ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ মাসে) সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ৭৬ কোটি ৩৬ লাখ ২৮ হাজার ৮৫৭ লাখ টাকা।

সংরক্ষিত মহিলা এমপি হাবিবা রহমান খানের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাজধানী ঢাকার চারপাশে নৌপথ চালুকরণে (১ম পর্যায় ২০০০-২০০৫ এবং দ্বিতীয় পর্যায় ২০০৮-২০১৩) দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে সদরঘাট হতে আশুলিয়া এবং আশুলিয়া হতে কাঁচপুর পর্যন্ত ১২০ ফুট প্রশস্ত ও ৬ ফুট ড্রাফট বিশিষ্ট নৌপথ চালু করা হয়। বর্তমানে নৌপথটি উক্ত ড্রাফটে চালু আছে। দ্রুতগামী ওয়াটার বাস না থাকা ও নদীর পানি দূষিত থাকায় ওয়াটার বাসে যাতায়াতে যাত্রীরা কম আগ্রহী।

প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, ঢাকার চারপাশের নৌপথে ১৫টি ল্যান্ডিং স্টেশনে বিভিন্ন নৌযানের মাধ্যমে মালামাল পরিবাহিত হয়। মালামাল ওঠানামার জন্য ইজারা দেয়া হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ঘাটসমূহ হতে ১১ দশমিক ৭৮ কোটি টাকা ইজারা দেয়া হয়েছে। নৌপথটিতে কার্গো চলাচল করে। ঢাকা শহরের চারপাশে বৃত্তাকার নৌ পথে বিআইডব্লিউটিসির মাধ্যমে বর্তমানে বাদামতলী হতে গাবতলী এবং টঙ্গী হতে নারায়ণগঞ্জ নৌরুটে নিয়মিত ওয়াটার বাস সার্ভিস পরিচালনা করা হচ্ছে। 

তিনি বলেন, ঢাকা শহরের চারদিকে নদীর তীরভূমি হতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে উদ্ধারকৃত তীরভূমিতে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ ও টঙ্গী নদীর বন্দরের নিয়ন্ত্রণাধীন উচ্ছেদকৃত তীরভূমিতে অবকাঠামো সুবিধা নির্মাণ ২০১১ সালের জুলাই হতে ২০১৪ সালের জুন একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ২০ কি.মি. ওয়াকওয়ে, বনায়ন ও দুটি ইকোপার্ক নির্মাণ করা হয়েছে।

এছাড়া ২০১৯ সালের জানুয়ারি হতে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত ৪৫০০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে ঢাকার চারদিকে নদীর তীরভূমির প্রায় ১৩৫ দশমিক ৫০ একর ভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় নিলামের মাধ্যমে ৭ কোটি ৫৮ হাজার টাকা এবং ২৭ লাখ ৬ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে। বর্তমানে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর উচ্ছেদকৃত তীরভূমিতে পিলার স্থাপন, তীর রক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটিসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের মাধ্যমে ৮৪৮ দশমিক ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আরো ৫২ কি.মি. ওয়াকওয়ে ১০ হাজার ৮২০টি সীমানা পিলার বনায়ন ৩টি ইকোপার্ক, ৬টি পন্টুন, ৪০ কি.মি. ওয়াল, ১৯টি আরসিসি জেটি, ৪০টি স্পাড ও ৪০৯টি বসার বেঞ্জ নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে যা ২০২২ সালের মধ্যে শেষ হবে।

এইচএস/ এফসি

আরও পড়ুন