৮ আগস্ট সকাল ৮টা থেকে ৯ আগস্ট সকাল ৮টা পর্যন্ত ঢাকা শহরসহ দেশের ৬৩ জেলায় (রাজশাহী বাদে) ২০০২ জন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর আগে ৭ আগস্ট সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা শহরসহ দেশের ৬৩ জেলায় (রাজশাহী বাদে) ২৩২৬জন, ৬ আগস্ট সকাল ৮টা পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা শহরসহ দেশের ৬৩ জেলায় (রাজশাহী বাদে) ২৪২৮জন, ৫ আগস্ট সকাল ৮টা পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা শহরসহ দেশের ৬৩ জেলায় (রাজশাহী বাদে) ২৩৪৮জন, গত ৪ আগস্ট সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা শহরসহ দেশের ৬৩ জেলায় (রাজশাহী বাদে) ২০৬৫জন, ৩ আগস্ট সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা শহরসহ দেশের ৬৩ জেলায় (রাজশাহী বাদে) ১৮৭০জন, ২ আগস্ট সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা শহরসহ দেশের ৬৩ জেলায় (রাজশাহী বাদে) ১৬৪৯জন, ১ আগস্ট সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা শহরসহ দেশের ৬৩ জেলায় (রাজশাহী বাদে) ১৬৮৭জন, ৩১ জুলাই সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ১৭১২জন, ৩০ জুলাই সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৪৭৭ জন, ২৯ জুলাই সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা শহরসহ দেশের ৬০টি জেলার হাসপাতালগুলোতে ১ হাজার ৩৫ জন, ২৮ জুলাই সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ৫০ জেলায় ১ হাজার ৯৬ জন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন্স সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানায়, নতুন আক্রান্ত ২০০২ জন নিয়ে এ বছর (৯ আগস্ট পর্যন্ত) সারাদেশে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গিয়ে দাঁড়ালো ৩৬ হাজার ৬৬৮ জনে। এর মধ্যে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৮ হাজার ৭৬৩জন।

প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, নতুন আক্রান্ত ২০০২ জনের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮০ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৬৩ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ৪৭ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫৩ জন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৬ জন, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ১৪ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০৩ জন, পিলখানাস্থ বিজিবি হাসপাতালে ৪ জন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ৩৮ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৮৬ জন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন।

অন্যদিকে, ওই ২৪ ঘণ্টায় হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ৪০ জন, বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৩ জন, বারডেম হাসপাতালে ৭ জন, ইবনে সিনা হাসপাতালে ১৩ জন, স্কয়ার হাসপাতালে ১৪ জন, ধানমণ্ডির কমফোর্ট নার্সিংয়ে ৩ জন, শমরিতা হাসপাতালে ৪ জন, ডেল্টা মেডিকেল কলেজে ২১ জন, ল্যাবএইডে ৭ জন, সেন্ট্রাল হাসপাতালে ২৮ জন, হাই কেয়ার হাসপাতালে ১০ জন, হেলথ অ্যান্ড হোপে ৪ জন, গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৪ জন, ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে ২৭ জন, ইউনাইটেড হাসপাতালে ৫ জন, খিদমাহ হাসপাতালে ৫ জন, শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪ জন, সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২ জন, অ্যাপোলো হাসপাতালে ২৬ জন, আদ্-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৬ জন, ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭ জন, বিআরবি হাসপাতালে ১০ জন, আজগর আলী হাসপাতালে ১৪জন, বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৬ জন, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৮জন, সালাউদ্দিন হাসপাতালে ১২ জন, পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৬ জন, উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ৮জন, আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২১ এবং কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে ৪ জন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন বলে দৈনিক জাগরণকে জানান হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন্স সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ও চিকিৎসক আয়েশা আক্তার।

গত ২৪ ঘণ্টাতেই ঢাকা বিভাগে (শহর ব্যতীত) ২৩৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২২৩ জন, খুলনা বিভাগে ১৪৯ জন, রংপুর বিভাগে ৭৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ১০৪ জন, বরিশাল বিভাগে ১৬৭ জন, সিলেট বিভাগে ২৯ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৭০ জন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত দেশজুড়ে (ঢাকা শহর ব্যতীত) ১১ হাজার ০৮৫ জন ডেঙ্গুজ্বরে রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

বর্তমানে ৩৬৮৭ জন ঢাকার বাইরে স্থানীয় সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত ২৯ জনের মারা যাওয়ার তথ্য সরকারিভাবে বলা হলেও বিভিন্ন গণমাধ্যমসহ নানা সূত্র বলছে ৭০ জনেরও বেশি।

আরএম/এসএমএম