• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০১৯, ০৯:০২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১৭, ২০১৯, ০৯:০২ এএম

রূপনগর ঝিলপাড় বস্তির আগুন

বাড়ির রির্জাভ ট্যাংক ও ওয়াসার পানির লরিই ছিল শেষ ভরসা

বাড়ির রির্জাভ ট্যাংক ও ওয়াসার পানির লরিই ছিল শেষ ভরসা
মিরপুরের ৭ নম্বর সেকশনে ঝিলপাড় বস্তিতে লাগা আগুন


রাজধানীর মিরপুরের ৭ নম্বর সেকশনে ঝিলপাড় বস্তিতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে করতে গিয়ে পানির সংকটে পড়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তাৎক্ষণিকভাবে পানির এ সংকট মেটাতে এলাকার বাড়ির পানির রির্জাভ ট্যাংক ও ওয়াসার পানির লরিই দমকল কর্মীদের শেষ ভরসা ছিল। আশপাশের বাড়ির রিজার্ভ ট্যাংকের পানি সংগ্রহ করেন দমকল কর্মীরা। পাশাপাশি ওয়াসার পানির দুটি লরি পানি নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয়। 

গতকাল শুক্রবার (১৬ আগস্ট) রাতে অগ্নিকাণ্ডের সময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে রাত ৯টার দিকে পানি সংকট দেখা দিয়েছে। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাসায় গিয়ে রিজার্ভ ট্যাংক থেকে দমকল কর্মীরা পানি সংগ্রহ করে। তারপরও পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যায়নি। এতে পানির সংকট মেটাতে রাত ৯টা ৫৪ মিনিটে ওয়াসার দুইটি পানি পূর্ণ লরি আসে। এই দুইটি ট্যাংকের পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হয়।
 
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা আতোয়ার হোসেন বলেন, ১০ নম্বর স্টেশন থেকে লোড হয়ে দমকলের গাড়িগুলো আসলেও পরে পানি ফুরিয়ে যায়। তখন পানি ছিটাতে কিছুটা সময় অসুবিধা হয়। এরপর বস্তির আশেপাশের বহুতল ভবনগুলো থেকে পানি নেওয়া হয়েছে।

মিল্কভিটা রোডের একটি বাড়ি থেকে পানি নেয় ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট। বাড়ির মালিক এস এম নূর উদ্দীন বলেন, বিপদেই মানুষের পরিচয়। আল্লাহ সুযোগ দিছে পানি দিচ্ছি, ইনশাআল্লাহ পানি কম পড়বে না। 

যদিও দুই ঘণ্টার আগুনে সম্পূর্ণ বস্তিটি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পানি না থাকায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় লাগা আগুনে রূপনগর ঝিলপাড় আরামবাগের বস্তিটি আগুনে পড়ে ছাই হয়ে যায়। 

এইচএম/আরআই

আরও পড়ুন