• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০১৯, ০৮:০৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১৮, ২০১৯, ০৮:০৬ পিএম

ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ডেঙ্গুর নতুন ওষুধ ছিটানো হচ্ছে

ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ডেঙ্গুর নতুন ওষুধ ছিটানো হচ্ছে

ডেঙ্গু ও মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধের জন্য ভারত থেকে কেনা দুই প্রকার নতুন ওষুধের কার্যকারিতা পরীক্ষা-নীরিক্ষা শেষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ডে একযোগে ছিটানো শুরু হয়েছে। তবে দুই প্রকার ওষুধের মধ্যে ‘মেলাথ্রিন’ দিয়ে এ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। আর দেড় লাখ লিটার ‘ডেলটামেথ্রিন’ পথে রেয়েছে। আগামী দুএকদিনের মধ্যেই তা দেশে এসে পৌঁছবে। 

এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান। প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন দুটি ওষুধসহ ফগ মেশিন কেনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এর মধ্যে ১৮ কোটি টাকার ওষুধ কেনা হয়েছে। এসব ওষুধ প্রয়োগ করা হলে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। 

আজ রোববার (১৮ আগস্ট) নগর ভবনের কার্যালয়ে মোস্তাফিজুর রহমান দৈনিক জাগরণকে বলেন, ডেঙ্গু ও মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে ডিএসসিসি ব্যবস্থাপনায় নগরবাসীর সুবিধার্থে ৩০ কোটি টাকা নতুন করে খরচ করা হচ্ছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রতিটি ওয়ার্ডে ওষুধ ছিটানোর কাজ চলছে। 

ডেলটামেথ্রিন ১ দশমিক ২৫% ইউএলভি এবং মেলাথ্রিন ৫% আরএসইউ- ওষুধ দুটির নমুনা বিশেষজ্ঞদের কাছে কার্যকর প্রতীয়মান হওয়ায় ভারত থেকে তা আমদানি করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। ৩টি খাঁচাভর্তি মশার শরীরে এই ওষুধ স্প্রে করার ২০ মিনিট পর ফলাফল পরীক্ষা করা হয়। দেখা যায়- ডেলটামেথ্রিনের মাধ্যমে মশা অজ্ঞান হয়েছে যথাক্রমে- ৮৪%, ৯২% এবং ৮২%। অন্যদিকে মেলাথ্রিনে মশা অজ্ঞান হয়েছে যথাক্রমে- ৯২%, ১০০% ও ১০০%। 

বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ব্যবহার হচ্ছে পারমেথ্রিন, টেটরামেথ্রিন ও পেলেথ্রিন। এগুলোতে মশা অজ্ঞান হয়েছে যথাক্রমে ৯০%, ১০০% এবং ৮৪%। কোনো ওষুধের কার্যকারিতা ৮০ ভাগের বেশি হলেই সেই ওষুধকে বিশেষজ্ঞরা ‘এ’ ক্যাটাগরির ওষুধ হিসেবে স্বীকৃতি দেন। 

ভারত থেকে আনা সংক্রান্ত বিষয়ে আজ রোববার ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান ভাণ্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান দৈনিক জাগরণকে বলেন, ২০ হাজার লিটার ‘মেলাথ্রিন’ ব্যবহারের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের গত ৯ এবং ১৪ আগস্ট দেয়া প্রতিবেদনের পর আমরা ওষুধ ছিটানোর কাজ শুরু করেছি।

টিএইচ/ এফসি

আরও পড়ুন