• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০১৯, ০৮:৫৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১৯, ২০১৯, ০৮:৫৪ পিএম

ডেঙ্গু নির্মূলে ডিএনসিসি যেভাবে চালাবে ‘চিরুনি অভিযান’

ডেঙ্গু নির্মূলে ডিএনসিসি যেভাবে চালাবে ‘চিরুনি অভিযান’

এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করার লক্ষ্যে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) থেকে ঘরবাড়ি ও এলাকা পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নামছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।এই অভিযানে একটি ওয়ার্ডকে ১০টি ব্লকে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি ব্লকে ১০টি সাব-ব্লক করা হয়েছে। অভিযানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মশার লার্ভা ধ্বংস করা হবে। এবারের  অভিযানের নাম ‘চিরুনি অভিযান’। ১০ দিনব্যাপী চলবে এ অভিযান ।

সোমবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় মেয়র আতিকুল ইসলাম দৈনিক জাগরণকে জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে পরীক্ষামূলকভাবে এই চিরুনি অভিযান শুরু করা হবে। অভিযানে স্ব স্ব এলাকার কাউন্সিলর, ডিএনসিসির নিজস্ব পরিচ্ছন্নতাকর্মী ছাড়াও কাউন্সিলর আরও  লোকবল দেবেন। পরীক্ষামূলক ভাবে কাজ শুরু করা হবে।এর কার্যকারিতা দেখে পরে প্রতিটি ওয়ার্ডে এই অভিযান চালানো  হবে।         

সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়,১০ দিনব্যাপী এই কর্মসূচিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা,পরিচ্ছন্নতা এবং এলাকার মানুষকে সচেতন করা হবে। এছাড়াও অভিযানের সময় পরিচ্ছন্নতাকর্মীর পাশাপাশি এলাকার গণ্যমান্য,রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, বাড়ির মালিকও ভাড়াটেদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতের ব্যবস্থাও থাকবে। ডিএনসিসির একটি ওয়ার্ডকে ১০টি ব্লকে ভাগ করে আরও ১০টি সাব–ব্লক করা হবে। প্রত্যেক সাব–ব্লকে থাকবেন একজন দলনেতা। তার অধীনে কাজ করবেন অন্তত ১০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী। ওয়ার্ড কাউন্সিলররা দলনেতাসহ লোকবল ঠিক করে দেবেন।

দলনেতাদের নেতৃত্বে বাড়ি বাড়ি যাবেন পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। যে বাড়িতে মশার প্রজননস্থল পাওয়া যাবে, সেখানে স্টিকার লাগিয়ে সতর্ক করে দেওয়া হবে। সপ্তাহখানেক পর সে বাড়িতে গিয়ে আবার পরিস্থিতি দেখা হবে। কোনো বাণিজ্যিক ভবন বা প্রতিষ্ঠানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে তাদের জরিমানা করা হবে। আর আবাসিক ভবনে দ্বিতীয়বার গিয়ে মশার প্রজননস্থল পেলে জরিমানা করা হতে পারে।

এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মমিনুর রহমান দৈনিক জাগরণকে বলেন,পরিচ্ছন্নতার জন্য এবং এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস  করতে পরীক্ষামূলকভাবে চিরুনি অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত  নেয়া হয়েছে। অভিযানের মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ডকে পরিচ্ছন্ন রাখা হবে। তবেই প্রাথমিক পর্যায়ে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ফলাফল দেখে পরে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে মশা বংশ বিস্তাররোধে ৩৬টি ওয়ার্ডে এই অভিযান ও লার্ভা ধ্বংসের কাজ করা হবে।

চিরুনি অভিযানে ওয়ার্ড কাউন্সিলর জনবল সরবরাহ করার বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটির ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূরুল ইসলাম রতন দৈনিক জাগরণকে বলেন,প্রতিটি ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্নতাকর্মী রয়েছে।পাশাপাশি এলাকার  সব পেশার মানুষের সহায়তা নেয়া হবে।

টিএইচ/বিএস 
 

আরও পড়ুন