• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০১৯, ০৫:৫১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২৫, ২০১৯, ০৫:৫৭ পিএম

এডিস মশা নিধন

‘চিরুনি অভিযানে’ অসহযোগিতা করলে আইনগত ব্যবস্থা

‘চিরুনি অভিযানে’ অসহযোগিতা করলে আইনগত ব্যবস্থা
ডিএনসিসি মার্কেট প্রাঙ্গণে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে মেয়র আতিকুল ইসলাম -ছবি : জাগরণ

এডিস মশা নিধনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩৬টি ওয়ার্ডে চলমান ‘চিরুনি অভিযানে’ কোনো বাড়ি, প্রতিষ্ঠানের কেয়ারটেকার অথবা নিরাপত্তা প্রহরী কিংবা মালিক অসহযোগিতা করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

রোববার (২৫ আগস্ট) দুপুর গুলশান ২ নম্বর ডিএনসিসি মার্কেট প্রাঙ্গণে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ আয়োজিত ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এ অভিযানে অনেক বাড়িতেই ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। অনেকেই সময়ক্ষেপণ করেন। ফলে অভিযান পরিচালনায় ব্যাঘাত ঘটছে। মেয়র বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে এরইমধ্যে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ এগিয়ে এসেছেন, তবে তাদের আরও এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ডিএনসিসির সকল বাড়ি, প্রতিষ্ঠান, খোলা জায়গা, পরিত্যক্ত ভবন ইত্যাদি ১০ দিনব্যাপী চলমান চিরুনি অভিযানের আওতায় আসবে, কিছুই বাদ যাবে না। তবে পরবর্তীতে এটি চালিয়ে যাওয়াই মূল চ্যালেঞ্জ এবং এজন্য বছরের ৩৬৫ দিনই এডিস মশা নিধনে কাজ করতে হবে বলে তিনি মনে করেন।

তিনি বলেন, আমরা শিগগিরই ইন্টিগ্রেটেড ভেক্টর ম্যানেজমেন্ট (আইভিএম) এর পরিকল্পনা প্রকাশ করবো। মশক নিধনের যন্ত্রপাতি আধুনিকীকরণ, মশক নিধনকর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান, কীটনাশক প্রয়োগের পরে মশা, অন্যান্য কীটপতঙ্গ এবং সর্বোপরি পরিবেশের উপর প্রভাব ইত্যাদি গবেষণা এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ এ পরিকল্পনার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

উল্লেখ্য, চিরুনি অভিযানের লক্ষ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি ব্লকে এবং প্রতিট ব্লককে ১০টি সাব-ব্লকে ভাগ করা হয়। প্রতিদিন প্রতিটি ওয়ার্ডের ১টি করে ব্লক থেকে এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসসহ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আফসার উদ্দিন খান এবং ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ এর সভাপতি পীযুষ বন্দোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন।

টিএইচ/একেএস

আরও পড়ুন