• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০১৯, ০৬:৫০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২৬, ২০১৯, ০৬:৫০ পিএম

চিরুনি অভিযান পরিদর্শন করলেন ডিএনসিসি মেয়র 

চিরুনি অভিযান পরিদর্শন করলেন ডিএনসিসি মেয়র 
মোহাম্মদপুরে চিরুনি অভিযান পরিদর্শন করলেন মেয়র আতিকুল- ছবি: জাগরণ

এডিস মশা নির্মূলে চলমান চিরুনি অভিযান পরিদর্শন করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। 

সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর নূরজাহান রোড এলাকায় চিরুনি অভিযান পরিদর্শন করেন। 

এ সময় মেয়র ঢাকা স্টেট কলেজ এলাকার বাড়ি মালিকদের উদ্দেশে বলেন, দুই বাড়ির ময়লা এ বারের মতো ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা পরিষ্কার করে দিচ্ছে, তবে ভবিষ্যতে কমিউনিটির লোকজনকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। বাসার বাইরে কোনোভাবেই ময়লা ফেলা উচিৎ নয় বলে তিনি বাড়ির মালিক ও সোসাইটির নেতৃবৃন্দকে এ বিষয়ে একসাথে বসার আহবান জানান।

চলমান চিরুনি অভিযানে সহযোগিতা করার জন্য মেয়র নগরবাসীকে ধন্যবাদ জানান। এডিস মশা নির্মূলে এ অভিযানে জনগণকে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়ার আহবান জানান। মেয়র আরো বলেন, ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা প্রতিদিন সকাল ৯টার মধ্যে শহরকে পরিচ্ছন্ন করে দেয়, কিন্তু দুঃখের বিষয় দোকানের কর্মচারীগণ সকাল ৯টায় দোকান পরিষ্কার করে রাস্তায়, ফুটপাতে ময়লা ফেলতে শুরু করেন। নিজস্ব স্থাপনার ভিতরে এডিস মশা যাতে বংশবিস্তার করতে না পারে সেজন্য তিনি মেট্রোরেলসহ সকল প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে আহবান জানান। মেয়র আতিকুল ইসলাম এর পরে তাজমহল রোডে ‘চিরুনি অভিযান’ পরিদর্শন করেন।

চলমান অভিযানের দ্বিতীয় দিনে আজ ৩৬টি ওয়ার্ডের মোট ১০ হাজার ৭২০টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ২৯৮টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ সব বাড়ি ও স্থাপনায় ‘এ বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়’ লেখা স্টিকার লাগানো হয়। এ ছাড়া ৫ হাজার ১৩টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার বংশবিস্তার উপযোগী স্থান/জমে থাকা পানি পাওয়া যায়। এডিস মশার বংশবিস্তারের উপযোগী এ সকল স্থান ধ্বংস করা হয়।

প্রতিটি ওয়ার্ডের সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর  ‘চিরুনি অভিযান’ সক্রিয়ভাবে তত্বাবধান করছেন।
এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ আনোয়ার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে গুলশানের ‘এক্সিকিউটিভ ইন লিমিটেড’ ৩ লক্ষ টাকা এবং ‘মিরাকি রেস্টুরেন্ট’কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। একই অপরাধে অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর নাহিদ আহসান গুলশানে শান্তা প্রোপার্টিজকে ১ লাখ টাকা, শাহজাদপুরে ‘অনওয়ার্ড প্রোপার্টিজ’কে ৫০ হাজার টাকা এবং শাহজাদপুরে একটি ব্যক্তিগত নির্মাণাধীন ভবনের মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
 
ডিএনসিসির ‘চিরুনি অভিযান’ ও ভ্রাম্যমাণ আদালত অব্যাহত থাকবে।

টিএইচ/বিএস 
 

আরও পড়ুন