এডিস মশা নির্মূলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের(ডিএনসিসি) দ্বিতীয় পর্যায়ের বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ও চিরুনি অভিযান এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত অব্যাহত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় পর্যায়ের চিরুনি অভিযানের পঞ্চম দিনে ডিএনসিসির ৩৬টি ওয়ার্ডে ১০ হাজার ২১২টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে মোট ৩৯টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভার উপস্থিতি খুঁজে পায়। এ ছাড়া ৬ হাজার ৪৯টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার বংশবিস্তার উপযোগী স্থান/জমে থাকা পানি পাওয়া যায়। এডিস মশার বংশবিস্তারের উপযোগী এ সকল স্থান ধ্বংস করা হয়।
প্রতিটি ওয়ার্ডের সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরগণ ‘চিরুনি অভিযান’ সক্রিয়ভাবে তত্বাবধান করছেন। ১৫ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া দ্বিতীয় দফা চিরুনি অভিযানে এ ৫ দিনে ৩৬টি ওয়ার্ডে সর্বমোট ৫১ হাজার ৩১১টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে মোট ১৭৭টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। এ ছাড়া ৩০ হাজার ১৩৩টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার বংশবিস্তার উপযোগী স্থান/জমে থাকা পানি পাওয়া যায়। সেসব স্থানগুলো ধ্বংস করে লার্ভিসাইড প্রয়োগ করা হয়।
উত্তরায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নাইনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরের ২ নম্বর সড়কের ৫৩ নম্বর বাসায় এডিস মশার লার্ভা, এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ এবং নোংরা, ময়লা-আবর্জনা পাওয়ায় রিপন বড়ুয়া নামে এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
টিএইচ/এসএমএম