• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০১৯, ০৮:৩৬ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৯, ২০১৯, ০৮:৩৬ এএম

জিরো থেকে হিরো এক ডজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর

জিরো থেকে হিরো এক ডজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর

মাদক আর চাঁদাবাজির টাকায় ভাগ্য ফিরিয়েছেন রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের এক ডজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর। যাদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মী। কাউন্সিলর আর দলীয় পদ-পদবী ব্যবহার করে তাদের বেশিরভাগই হয়েছেন জিরো থেকে হিরো। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শুদ্ধি অভিযান শুরুর পর থেকে এসব অভিযুক্ত জন-প্রতিনিধিদের আর খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বাসায় গেলে জানান হয় কাউন্সিলরের কার্যালয় আছেন, আর কার্যালয়ে গেলে বলা হয় বাসায় রেস্টে আছেন।   

সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং মাদক ব্যবসায় ভাগ্য ফেরানোর অভিযোগ উঠেছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ১২ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। তারা হচ্ছেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি)- আনিসুর রহমান আনিস (ওয়ার্ড-২), মমিনুল হক সাঈদ (ওয়ার্ড-৯), আবদুল বাসিত খান বাচ্চু (ওয়ার্ড-৭), মোস্তফা জামান পপি (ওয়ার্ড-১৩), ফরিদ উদ্দিন রতন (ওয়ার্ড-২০), তরিকুল ইসলাম সজীব (ওয়ার্ড-২২) ও ময়নুল হক মঞ্জু (ওয়ার্ড-৩৯)। 

উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অভিযুক্তরা হচ্ছেন- কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক (ওয়ার্ড-৩), রজ্জব হোসেন (ওয়ার্ড-৬), মোবাশ্বের হোসেন চৌধুরী (ওয়ার্ড-৭), ফরিদুর রহমান খান ইরান (ওয়ার্ড-২৭) ও তারেকুজ্জামান রাজিব (ওয়ার্ড-৩৩)।

এসব কাউন্সিলরদের মধ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন দক্ষিণের ৯ নং ওয়ার্ড  কাউন্সিলর মমিনুল হক সাঈদ। অন্যরা হয় গ্রামে নয়তো কোনও আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন। কেউ কেউ অসুস্থতার ভান করে হাসপাতালেও ভর্তি রয়েছেন। 

অভিযোগ রয়েছে, নির্বাচিত হওয়ার পর তারা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে এলাকার বিভিন্ন ক্লাব, সামাজিক সংগঠন, মার্কেট ও ফুটপাত নিয়ন্ত্রণে নেন। গা ভাসিয়ে দেন মাদক ব্যবসায়। পাশাপাশি বিদেশেও তাদের কেউ কেউ করছেন ক্যাসিনো ব্যবসা। বিদেশি ব্যাংকেও তাদের রয়েছে কাড়ি কাড়ি টাকা।

সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তালিকায় উঠে এসেছে এসব বিতর্কিত কাউন্সিলরের নাম ও আমলনামা।

জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাদের সাধারণ মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকার কথা থাকলেও হচ্ছে তার উল্টোটা। ব্যস্ততার অজুহাতে তারা থাকছেন সাধারণ মানুষের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। ইচ্ছে থাকলেও কেউ এসবের প্রতিবাদ করা তো দূরের কথা টু’শব্দটিও করার সাহস পান না কেউ।

 এসব কাউন্সিলররা সিটি করপোরেশনের নিয়মিত বোর্ড সভায়ও অনুপস্থিত থাকেন। কারও কারও বিরুদ্ধে সরকারের অনুমতি ছাড়া একাধিকবার বিদেশ ভ্রমণেরও অভিযোগ রয়েছে।

মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় অনুসন্ধানে জানা যায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪ কাউন্সিলর সরাসরি ক্যাসিনো ও জুয়ার সাথে জড়িত। তারা হচ্ছেন- মমিনুল হক সাঈদ (ওয়ার্ড-৯), মোস্তফা জামান পপি (ওয়ার্ড-১৩), ফরিদ উদ্দিন রতন (ওয়ার্ড-২০) ও আনিসুর রহমান আনিস (ওয়ার্ড-২)। তারা সবাই যুবলীগ দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী ওরফে সম্রাটের সকল অপকর্মের সঙ্গী।

মাদক ও চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে ৮জন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। তারা হচ্ছেন দক্ষিণের আবদুল বাসিত খান বাচ্চু (ওয়ার্ড-৭), তরিকুল ইসলাম সজীব (ওয়ার্ড-২২), ময়নুল হক মঞ্জু (ওয়ার্ড-৩৯) এবং উত্তরের কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক (ওয়ার্ড-৩), রজ্জব হোসেন (ওয়ার্ড-৬), মোবাশ্বের হোসেন চৌধুরী (ওয়ার্ড-৭), ফরিদুর রহমান খান ইরান (ওয়ার্ড-২৭) ও তারেকুজ্জামান রাজিব (ওয়ার্ড-৩৩)।

এমএএম/এসএমএম

আরও পড়ুন