• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০১৯, ১২:৫৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৩, ২০১৯, ০৪:৪৮ পিএম

ছেলের মুক্তি ও জীবন ভিক্ষা চাইলেন সম্রাটের মা 

ছেলের মুক্তি ও জীবন ভিক্ষা চাইলেন সম্রাটের মা 
রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে সম্রাটের মা সায়েরা খাতুন -ছবি : জাগরণ

ক্যাসিনো বিরোধী শুদ্ধি অভিযানে আটক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন তার মা সায়েরা খাতুন। তিনি বলেছেন, সম্রাটকে উন্নত চিকিৎসা দিয়ে তার জীবন ভিক্ষা দিন।

রোববার (১৩ অক্টোবর) বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সায়েরা খাতুন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি মানবতার মা। সম্রাট যেমন আমার সন্তান, তেমনি আপনারও সন্তানতুল্য। সম্রাট ওপেন হার্ট সার্জারির রোগী। তার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। মা হিসেবে আপনার কাছে আমার আকুল আবেদন তাকে মুক্তি দিন। উন্নত চিকিৎসা দিয়ে তার জীবন ভিক্ষা দিন।

পরে সম্রাটের মায়ের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সম্রাটের বোন ফারহানা চৌধুরী শিরিন। সম্রাটের ছোট ভাই রাসেল আহমেদ চৌধুরী বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সম্রাটের বাইপাস সার্জারি করে ভাল্ব প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ মোতাবেক মদ পান তার জন্য মৃত্যুর কারণ হতে পারে। তাই সে কখনও মদ পান করবে না। সম্রাট গ্রেফতারের ১০ দিন আগ থেকে অফিসেই ছিল না। শরীর খারাপ থাকায় অন্যত্র অবস্থান করছিল। তার অফিসে মদ, ইয়াবা, পিস্তল কিছুই ছিল না। আমাদের আশঙ্কা এটি পরিকল্পিত সাজানো নাটক ছাড়া কিছুই না।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ঢাকা শহরে প্রতিটি ক্লাব পরিচালনা করার জন্য কমিটি রয়েছে। আমার সন্তান কোনো ক্লাবের পরিচালনা কমিটির সদস্য নয় এবং ডাক গ্রহণকারীও নয়। শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এবং ব্যক্তিগত আক্রোশে তাকে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে জড়ানো হচ্ছে। বন্য প্রাণি সংরক্ষণ আইনে যে মামলায় তাকে ৬ মাসের সাজা দেয়া হয়েছে সে মামলার আদেশ আমরা এখনও হাতে পাইনি। ক্যাঙ্গারু বাংলাদেশি বন্যপ্রাণী নয়, তাই এটি বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের মধ্যে পড়ে না। ওই ক্যাঙ্গারুর চামড়াটি এক প্রবাসী বাংলাদেশি তাকে উপহার হিসেবে দিয়েছিল বিধায় এটি আইন বিরোধি কাজ নয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ৬ অক্টোবর রোববার সম্রাটকে গ্রেফতার করা হয়। যে স্থান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে সে স্থান থেকে কোনো প্রকার অস্ত্র কিংবা মাদক পাওয়া যায় না। কিন্তু আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে দেখতে পেলাম তাকে কাকরাইল অফিসে নিয়ে আসা হয় এবং প্রায় ৪ ঘণ্টা ১৭ মিনিট তার অফিস তল্লাশি করা হয়। তল্লাশি চলাকালীন সময়ে কোনো গণমাধ্যমকর্মীকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। সম্রাটকে নিয়ে অফিসের ভিতরে প্রবেশের সময় বিভিন্ন মিডিয়ায় লাইভ সম্প্রচারে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু লোক কাধে ব্যাগ নিয়ে প্রবেশ করে এবং অফিস থেকে বের হওয়ার সময় ওই সকল ব্যাগ লক্ষ করা যায়নি।

টিএস/একেএস

আরও পড়ুন