• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০১৯, ০৪:১১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৭, ২০১৯, ০৪:১৮ পিএম

অধিগ্রহণে আপত্তি নেই বাউনিয়া-বারুনটেকবাসীর, তবে...

অধিগ্রহণে আপত্তি নেই বাউনিয়া-বারুনটেকবাসীর, তবে...
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন ভূমি মালিক সাইদুর রহমান-ছবি : জাগরণ

সাধারণত জমি অধিগ্রহণে ভূমি মালিকদের আপত্তি থাকলেও মিরপুর পল্লবী থানার বাউনিয়া, বারুনটেক এলাকার অর্ধশতাধিক প্রকৃত ভূমির মালিক সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন, সরকার তাদের জমি অধিগ্রহণ করলে তাদের কোনও আপত্তি নেই।

তারা বলেন, তবে ওই জমিতে হতে হবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোন প্রতিষ্ঠান। এতে সন্ত্রাসকবলিত ওই এলাকাটি সন্ত্রাসমুক্ত এবং বিভিন্ন অপকর্ম থেকে রক্ষা পাবে এবং সামাজিক ভিত্তিটা সুন্দরভাবে গড়ে উঠবে।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রায় অর্ধশতাধিক ভূমির মালিক।

লিখিত বক্তব্যে সাইদুর রহমান নামে এক ভূমির মালিক বলেন, মিরপুর পল্লবীর বাউনিয়া, বারুনটেক মৌজার বিভিন্ন দাগে সরকারের অধিগ্রহণে প্রস্তাবিত ১৪ দশমিক ৩৪ একর জমি অধিগ্রহণে আমরা সরকারকে দিতে রাজি। সরকারের এ সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। ওই জমির মধ্যে সামান্য অংশের মালিক সাগুফতা এন এম হাউজিং লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। অথচ হাউজিং কোম্পানিটি পুরো জমিই নিজেদের বলে দখল নিতে চাচ্ছে।

তিনি বলেন, সরকারের অধিগ্রহণে প্রস্তাবিত ৯ একর ৯৬ শতাংশ এবং ৪ একর ৩৮ শতাংশ মোট ১৪ একর ৩৪ শতাংশ জমির মধ্যে সগুফতা এন এম হাউজিং মাত্র ৫০ শতাংশ রেকর্ডীয় ও ৭২ শতাংশ ক্রয় সূত্রে মলিক। বাকী সম্পত্তির মালিক আমরা।

তিনি বলেন, সাগুফতা এন এম হাউজিং লিমিটেড আমাদের রেকর্ডীয় ও দখলে থাকা জমি তাদের পালিত সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে বেদখল করে রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভয় ভীতি, হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে।

সাইদুর রহমান জানান, সাগুফতা এন এম হাউজিং লিমিটেডের অবৈধ ও বেআইনি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আমরা প্রকৃত ভূমি মলিকরা ২০০৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট থানায় দুই শতাধিক সাধারণ ডায়রি (জিডি)  করেছি। ২০টি মামলা করেছি। তাদের এ দখলবাজীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়, পুলিশ কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে। তারপরেও সরকারি কোনও নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়া যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের রেকর্ডীয় জমি বিভিন্ন ক্রেতাদের দেখিয়ে সাগুফতা এন এম হাউজিং লিমিটেড তাদের নিকট হতে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করে প্রতারণা করছে। একেকটি প্লট বিভিন্নজনের কাছে বিক্রি করছে। সাগুফতা এন এম হাউজিং লিমিটেড কথনই এই জমির মালিক ছিল না এবং ভবিষ্যতেও ক্রেতাদের কখনও এসব জমি বুঝিয়ে দিতে পারবে না। তারা সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, সাগুফতা এন এম হাউজিং লিমিটেডে এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করলে সাধারণ ভূমি মালিকদের অস্ত্র দেখিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ধরে নিয়ে গিয়ে  টর্চার ও নির্যাতন করে।

তিনি বলেন, এসব জমি সরকারি স্থাপনা তৈরির জন্য সরকার অধিগ্রহণ করবে বলে আমাদের কাছে প্রস্তাব করেছে। ঢাকা জেলা প্রশাসন থেকে জমি অধিগ্রহণের জন্য এরই মধ্যে ৪ ধারায় নোটিশও করেছে। আমরা এ প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানাই। কারণ এ জমি যদি সরকার অধিগ্রহণ করে তাহলে ভূমির প্রকৃতি মালিকরা সাগুফতা এন এম হাউজিং লিমিটেডে সন্ত্রাসী ও বেআইনি কার্যকালাপ থেকে রক্ষা পাবে। সেখানে আইন-শঙ্খলা বাহিনীর কোনও প্রতিষ্ঠান থাকলে সন্ত্রাস ও মাদককবলিত ওই এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল হবে। ভবিষ্যত প্রজন্ম রক্ষা পাবে। তাই সরকারের কাছে আবেদন, এই জমি অধিগ্রহণ করে সে জমিতে সরকারি কোনও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠুক।

এ বিষয়ে সাগুফতা কোম্পানির এমডি জুয়েল মোল্লার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায় নি।

টিএস/এসএমএম

আরও পড়ুন