• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০১৯, ০১:৪৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২৩, ২০১৯, ০২:০৭ পিএম

শহীদ মিনারে পুলিশের বাধা

কার্জন হলের সামনে সমাবেশ করলেন প্রাথমিক শিক্ষকরা

কার্জন হলের সামনে সমাবেশ করলেন প্রাথমিক শিক্ষকরা
প্রাথমিক শিক্ষকদের সমাবেশ -ছবি : কাশেম হারুন

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুমতি না থাকায় পুলিশের ধাওয়ায় সমাবেশ করতে পারেনি প্রাথমিক শিক্ষকরা। পুলিশ শিক্ষকদের লাঠিচার্জ করে সেখান থেকে সরিয়ে দিয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করতে না পারলেও কার্জন হলের সামনে রাস্তায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে শিক্ষকরা।

রমনা জোনের দায়িত্বরত ডিসি সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন, শহীদ মিনারে সমাবেশ করার অনুমতি না থাকায় শিক্ষকদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে। তাছাড়া শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষায় সমাবেশ করতে দেয়া হয়নি। এ ঘটনায় কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকালে প্রাথমিক শিক্ষা ঐক্য পরিষদের আহ্বানে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের পূর্বঘোষিত মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার থাকলেও পুলিশি বাধার কারণে শিক্ষকরা সেখানে জড়ো হতে পারছেন না। সকাল থেকে শহীদ মিনারের চৌহদ্দিসহ আশপাশের রাস্তায় বিপুল সংখ্যক পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কাউকে শহীদ মিনারের দিকে যেতে দেয়া হচ্ছে না।

অন্যদিকে প্রাথমিক শিক্ষা ঐক্য পরিষদ মহাসমাবেশ ডাকলেও ঢাকায় মহাসমাবেশে যোগ না দিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ছুটির দিনে কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)। ২১ অক্টোবর ডিপিইর মহাপরিচালক ড. এ এফ এম মনজুর কাদির স্বাক্ষরিত এমন নির্দেশনা জারি করা হয়। বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে আজ বুধবার ঢাকায় শিক্ষকদের মহাসমাবেশ পালনের ঘোষণা দেয়ায় এ নির্দেশনা জারি করা হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিভিন্ন জেলা থেকে শিক্ষকরা ছুটে আসছেন।

পুলিশের বাধার মুখে ফাঁকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার -ছবি : জাগরণ

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বুধবার (২৩ অক্টোবর) পবিত্র আখেরি চাহার শোম্বার ছুটির দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষক সংগঠন বিভিন্ন দাবি নিয়ে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারেন বলে জানা গেছে। এ কারণে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এ দিন ছুটি উপলক্ষে কর্মস্থল ত্যাগের অনুমতি না দিতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ সামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, শিক্ষকরা তাদের অধিকার আদায়ে ছুটির দিনে আন্দোলন করতে পারবেন না, তা হতে পারে না। যত বাধাই থাকুক, আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি যথাসময়ে পালন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, নিজেদের দাবি আদায়ে শিক্ষকরা কোনো হুমকি ভয় পান না, এ আন্দোলনে প্রায় পৌনে তিন লাখ শিক্ষক অংশগ্রহণ করছেন। মন্ত্রণালয় বিদ্যালয় ত্যাগের নির্দেশনা দিলেও বুধবার সরকারি ছুটি, এদিন সব বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে।

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থেকে আগত এক শিক্ষিকা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষকদের ১০তম গ্রেড ও সহকারী শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডের দাবিতে মহাসমাবেশ ডেকেছেন। গত বছরর আমরণ অনশনকালে তাদের দাবি অচিরেই পূরণ করা হবে বলা হলেও বাস্তবে তা ঘটেনি। তাই মহাসমাবেশে যোগ দিতে এসেছি। কিন্তু পুলিশ সদস্যরা আমাদের শহীদ মিনারে যেতে দিচ্ছে না।

এর আগে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের গ্রেড পরিবর্তনের দাবিতে গত ১৪ থেকে ১৭ অক্টোবর বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে কর্মবিরতি পালন করেছেন শিক্ষকরা। দাবি আদায় না হলে ২৩ অক্টোবর শিক্ষকরা রাজধানী ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপস্থিত হয়ে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দেন। এদিকে শিক্ষকদের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিভিন্ন প্রবেশদ্বার আজও বন্ধ করে রাখা হয়।

এইচএম/একেএস

আরও পড়ুন