• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০১৯, ০৫:০২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২৩, ২০১৯, ০৫:০৪ পিএম

কিউলেক্স মশা নিধনে এবার মাঠে নামছে ডিএনসিসি

কিউলেক্স মশা নিধনে এবার মাঠে নামছে ডিএনসিসি
গুলশানের নগরভবনে সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম -ছবি : জাগরণ

এডিসের পাশাপাশি এবার কিউলেক্স মশা নিধনে মাঠে নামছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এজন্য বুধবার থেকে দু’সপ্তাহব্যাপী বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করছে ডিএনসিসি। এছাড়াও মশা নিয়ন্ত্রণে বছরব্যাপী গ্রহণ করা হয়েছে নানা কর্মসূচি।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে গুলশানের নগরভবনে আয়োজিত ‘মশক নিয়ন্ত্রণে বর্তমান কার্যক্রম এবং বছরব্যাপী কর্মপরিকল্পনা’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে গত ৭ অক্টোবর থেকে কিউলেক্স মশার প্রজননস্থল অর্থাৎ হট স্পট চিহ্নিত করার জন্য ২জন কীটতত্ত্ব এবং ১০ জন শিক্ষানবিশ নিয়োজিত করা হয়েছে। তারা ইতোমধ্যে গবেষণা করে হট স্পট অর্থাৎ কোন এলাকায় কিউলেক্স মশার তীব্রতা কত তা নির্ধারণ করেছেন। সে অনুযায়ী মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডেই এই গবেষণা পরিচালিত হয়।

কীটতত্ত্ববিদ ড. জি এম সাইফুর রহমান জানান, ৭টি ওয়ার্ডে কিউলেক্স মশার প্রজননস্থল এর ঘনত্ব বেশি পাওয়া যায়। ওয়ার্ডগুলো হচ্ছে- ২০, ২৮, ১১, ৫, ৩১, ৩২ ও ১৭।

প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, আজ থেকে দুই সপ্তাহব্যাপী বিশেষ মশক নিধন কার্যক্রম অর্থাৎ ক্রাশ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হবে। 

মেয়র আরও বলেন, এখন থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরগণ নিজ নিজ ওয়ার্ডের মশক নিয়ন্ত্রণ, পরিছন্নতাসহ যে কোনো বিষয়ে দায়ী থাকবেন। যার যার কৃতকর্মের জন্য তাকেই জবাবদিহি করতে হবে।

আতিকুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত সি ফোরটি মেয়রদের সম্মেলনে ডিএনসিসি ও কোপেনহেগেনের মধ্যে অগ্নি নির্বাপণ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। ৩৬টি ওয়ার্ডে ১টি করে ৩৬টি স্যাটেলাইট অগ্নিনির্বাপণ স্টেশন স্থাপন করা হবে। এর ফলে অল্প সময়ের মধ্যে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। এছাড়া পরীক্ষামূলকভাবে শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়ার জন্য কয়েকটি স্কুলে বৈদ্যুতিক বাস চালু করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর মনজুর হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

টিএইচ/একেএস

আরও পড়ুন