• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০১৯, ১২:২০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১২, ২০১৯, ১২:২৩ পিএম

পাওনা পরিশোধের দাবিতে পাট ব্যবসায়ীদের বিজেএমসি ঘেরাও

পাওনা পরিশোধের দাবিতে পাট ব্যবসায়ীদের বিজেএমসি ঘেরাও

বিজেএমসির কাছে পাওনা টাকা পরিশোধের দাবিতে রাজধানীর মতিঝিলের বিজেএমসির প্রধান কার্যালয় ঘেরাও করেছে সাধারণ পাট ব্যবসায়ী এবং বাংলদেশ ক্ষুদ্র পাট বাবসায়ী সমিতি। সারাদেশ থেকে প্রায় ১ হাজার পাট ব্যবসায়ী এবং পাট চাষি এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।

সোমবার (১১ নভেম্বর) এই ঘেরাও কর্মসূচি পালনকালে সেখানে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সাধারণ পাট ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক খোন্দকার আলমগীর কবিরের সভাপতিত্বে সমাবেশে পাট ব্যবসায়ীদের দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন লেখক-কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আজিজ, টিপু সুলতান, শামীম মোড়ল, শরিফুল ইসলাম, নাদেম দত্ত, আবদুল মালেক ভূঁইয়া প্রমুখ।

সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, পাট ব্যবসায়ীদের এই দাবি ন্যায় তো বটেই, যৌক্তিকও বটে। এতো্ বিশাল জাতীয় বাজেটে পাট চাষিদের যে বকেয়া, সেটা নামমাত্র টাকা। সংশ্লিষ্ট সংস্থা তথা সরকারের উচিত শিগগিরই পাটব্যবসায়ীদের বকেয়া পাওনা টাকা পরিশোধ করা। 

বক্তারা বলেন, গত ২০১৬-২০১৭ অর্থবছর থেকে এ পর্যন্ত বিজেএমসির কাছে প্রায় ৫ হাজার পাট ব্যবসায়ী ও পাটচাষির ৪৫২ কোটি ৯২ লাখ পাওনা রয়েছে। বিজেএমসির বিভিন্ন পাট ক্রয় কেন্দ্রে ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ী ও চাষিদের পাওনা টাকা পরিশোধের দাবি জানিয়ে বরাবর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যেগাযোগ করেও সাড়া মেলেনি। পাওনা না পেয়ে সাধারণ পাট ব্যবসায়ীরা পরিবার পরিজনসহ মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। এ অবস্থায় আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সব পাওনা টাকা পরিশোধ না করা হলে বিজেএমসির আওতাধীন মিলঘাটসহ দেশের সব পাট ত্রক্রয়কেন্দ্রে পাট সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হবে। ন্যায্য পাওনা পরিশোধে বিজেএমসিকে বাধ্য করতে প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী  এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন বক্তারা।

বিজেএমসির প্রধান কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ।

টিএস/একেএস

আরও পড়ুন