ঢাকা শহরের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রাখতে আগামী নির্বাচনে পুনরায় ঢাকাবাসীর সমর্থন কামনা করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, কর্তব্যে অবহেলা করিনি। মায়ের মত এ শহরকে ভালোবেসেছি। জীবন দিয়ে কথা রাখার চেষ্টা করেছি। কতটুকু করতে পেরেছি সে ভার আপনাদের। 

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকালে কামরাঙ্গীরচর এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

সাঈদ খোকন বলেন, তার প্রয়াত পিতা সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফ নগরবাসীকে দেয়া উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন। তার রক্তের উত্তরাধিকারী হিসেবে নগরবাসীর কল্যাণে আমিও আমার দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করব ইনশাল্লাহ। 

এ সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন। এতে বক্তব্য রাখেন- কামরাঙ্গীরচর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মো. আবুল হোসেন সরকার এবং সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. সোলায়মান, হাজী নূরে আলম, হাজী সাইদুল ইসলাম মাতবর প্রমূখ।

মেয়র সাঈদ খোকন আরো বলেন, রাজধানী ঢাকা এখন উন্নয়নের স্রোতধারায় বদলে যাওয়া এক নতুন নগরী। কামরাঙ্গীরচরের ৩টি ওয়ার্ডে নেয়া বিভিন্ন উন্নয়নের বিবরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, আগামীতেও ঢাকাবাসীর ভোটে নির্বাচিত হলে আর একটি কামরাঙ্গীরচর উপহার দেয়া হবে। 

অনুষ্ঠানে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে উত্থাপিত ৫টি ব্রিজ/ কালভার্ট নির্মাণের দাবির প্রেক্ষিতে তিনি এগুলোসহ আরো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেন।

সাঈদ খোকন বলেন, এ এলাকায় ড্রেনেজসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ করার ফলে ঢাকা শহরে জলাবদ্ধতা হলেও এখানে হয় না। 

এমপি অ্যাভোকেট কামরুল ইসলাম আগামী নির্বাচনে উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে কোনো সন্ত্রাসী/গুন্ডাকে ভোট না দিয়ে মাদকমুক্ত সুন্দর সমাজগঠনে অঙ্গীকার কারীদের ভোট দেয়ার আহ্বান জানান।

এর পূর্বে মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ডিএসসিসির পক্ষ থেকে কামরাঙ্গীরচরের রসুলপুরে নব নির্মিত ‘মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম কমিউনিটি সেন্টার কাম মার্কেট’ এর উদ্বোধন করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় এমপি অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ৫ম ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন, ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. ইমদাদুল হক, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউল করিমসহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ।

মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, অত্যাধুনিক এ কমিউনিটি সেন্টার কাম মার্কেটের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের একটি প্রত্যাশা পূরন হল। এর ফলে এলাকাবাসী স্বল্প ব্যয়ে সহজেই পারিবারিক ও সামাজিক নানা অনুষ্ঠানের জন্য এটি ব্যবহার করতে পারবেন। ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ১৫ কাঠা জমির উপর নির্মিত ৫ তলা বিশিষ্ট এ স্থাপনায় ১৬০০ জন অতিথির আসন ব্যবস্থা, কার পার্কিং, ব্যায়ামাগার, কমিশনার কার্যালয়, লাইব্রেরি, লিফটের ব্যবস্থা এবং ৭৬টি দোকানের ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

টিএইচ/টিএফ