• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০১৯, ১২:০৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২০, ২০১৯, ১২:০৩ পিএম

লবণ নেই রাজধানীর পাড়া-মহল্লার দোকানে

লবণ নেই রাজধানীর পাড়া-মহল্লার দোকানে

রাজধানীর পাড়া-মহল্লার খুচরা মুদি দোকান ও হাট-বাজার থেকে লবণ গায়েব হয়ে গেছে। মূল্যবৃদ্ধির গুজব ছড়ানোর পর গতকাল মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুর থেকে লবণ কেনার হিড়িক পড়ে। বিকালের মধ্যে লবণশূন্য হয়ে পড়ে দোকানগুলো। অবস্থা এমন হয়েছে- যাদের ঘরে লবণও নেই, তারাও এখন লবণ পাচ্ছে না। 

মোহাম্মদপুর নূরজাহান রোডে একটি মুদি দোকানে বুধবার সকাল ১০টার দিকে এক কেজি প্যাকেটজাত লবণ কিনতে আসেন গৃহিনী আফরোজা। কিন্তু দোকানদারের না-সূচক জবাবে তিনি কিছুটা হতাশ হন। এই প্রতিবেদককে আফরোজা বলেন, সবার মতো আমিও মঙ্গলবারে কিনতাম, ভালো হত। গুজবে কান না দিয়ে আজ আমি-ই বিপদে পড়ে গেলাম। 

মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারে লবণের খোঁজে এসেছেন গৃহিনী পারভীন সুলতানা। তার বাসা শিয়া মসজিদ এলাকায়। সেখানকার বহু দোকান ঘুরেও তিনি লবণ পাননি। পারভীন সুলতানা বলেন, এক প্রতিবেশী ভাবির কাছ থেকে লবণ হাওলাত করে সকালে রান্না করেছি।  ভেবেছি- টাউন হল বাজারে অন্তত পাব।  কিন্তু পেলামই না। 

শ্যামলী, আদাবর, শেখেরটেক, গাবতলী, মিরপুর ১ নম্বর, কল্যাণপুর, ধানমণ্ডি, গ্রিনরোড, রাজাবাজার, পূর্ব রাজাবাজারের ছোট্ট একটি বাজার, হাতিরপুল বাজারসহ আরও কিছু এলাকা ঘুরে লবণশূন্য চিত্র পাওয়া গেছে।  

মিরপুর এক নম্বর এলাকার খুচরা ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিন দৈনিক জাগরণকে বলেন, পাবলিকের চাপে মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যেই আমাদের লবণ শেষ হয়ে যায়। আমাদের মজুদে যে পরিমাণ লবণ ছিল, তাতে অন্তত ১৫ দিন যাওয়ার কথা। 

এলাকার ব্যবসায়ীরা জানান, পাড়া-মহল্লার মুদি দোকান ও বাজারে লবণ শেষ হওয়ার পরই মানুষজন কারওয়ান বাজারের মতো পাইকারি বাজারমুখী হন। কিছু দোকানে অতিরিক্ত দামে লবণ বিক্রি হয়েছে- এমন খবর ছড়ানোর পর সাধারণ মানুষের মধ্যে লবণের মূল্যবৃদ্ধির আতঙ্ক দেখা দেয়। ফলে তারা প্রয়োজনের অতিরিক্ত লবণ কেনা শুরু করেন। কিন্তু বাস্তবে লবণের মূল্যবৃদ্ধির কোনো ঘটনাই ঘটেনি। 

পশ্চিম রাজাবাজারের বাজারের ব্যবসায়ী কাদের দৈনিক জাগরণকে বলেন, ‘সমস্যাটা হইছে, কিছু মানুষ গুজবে কান দিয়া ১ কেজির জায়গায় ৫ কেজি বা এরও বেশি কিনছে। আর কিছু মানুষ গুজবে কান দেয় নাই। হেরাই আজকা বিপদে পড়ছে।  তাগো দরকারটাই আসল দরকার।  কালকা যে অবস্থা গেছে, মনে হইছে- লবণ না পাইলে মাইরা ফালাইব।’ 

এরইমধ্যে পাড়া-মহল্লার খুচরা ব্যবসায়ীরা লবণ বিপণনকারী কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছেন। তারা আশা করছেন- দুএকদিনের মধ্যেই দোকানে লবণ উঠবে। 

আরএম/ এফসি

আরও পড়ুন