• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০১৯, ০৫:১০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২০, ২০১৯, ০৫:১০ পিএম

কারওয়ান বাজারে লবণ বিক্রিতে ভাটা

কারওয়ান বাজারে লবণ বিক্রিতে ভাটা
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে কিচেন মার্কেট ঘেঁষা গলিতে লবণের দোকান - ছবি : জাগরণ

লবণ আছে, কিন্তু ক্রেতা নেই। এই হচ্ছে আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত রাজধানীর কারওয়ান বাজারের চিত্র। অথচ গতকালই মূল্যবৃদ্ধির গুজবে বেলা আড়াইটা থেকে টানা দুই ঘণ্টা এখানে লবণ কেনার হিড়িক লেগেছিল। 

কারওয়ান বাজারে লবণ বিক্রির দোকানগুলো রয়েছে মাছ বাজারের ছাউনির ভেতরে এবং কিচেন মার্কেট ঘেঁষা একটি গলিতে। বুধবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত বস্তায় বস্তায় লবণ পড়ে থাকতে দেখা গেছে এসব দোকানের আঙিনায় ও সারিবদ্ধভাবে তাকে। কিন্তু লবণের কোনো ক্রেতা নেই। 

কিচেন মার্কেট ঘেঁষা একটি গলিতে ইউসুফ জেনারেল স্টোরের বিক্রয়কর্মী আমজাদ হোসেন জানান, আজ সকাল ৭টায় দোকান খোলার পর থেকে এখন বিকাল ৪টা পর্যন্ত আধবস্তা (সাড়ে ১২ কেজি) লবণ বিক্রি হয়েছে। একটু হেসে তিনি বলেন, ‘যা লবণ কেনার, মাইনষে কালকাই কিন্নালাইছে। আমার অবস্থা তো খারাপ আছিল। পুলিশ না আইলে দোকান ভাইঙা মনে হয় লবণ নিয়া যাইতোগা।’

হাজি মিজান এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার জাকির হোসেন বলেন, লবণে আমার আসল কাস্টমার কারওয়ান বাজারের কিছু হোটেল। তাদের জন্যই আজকে কিছু লবণ বেচা হইছে। সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ধরেন ৩/৪ বস্তা (প্রতি বস্তায় ২৫ কেজি) লবণ বেচা হয়েছে। 

স্বাভাবিক সময়ে হাজি মিজান এন্টারপ্রাইজ প্রতিদিন প্রায় ১০ বস্তা লবণ বিক্রি করে থাকে। 

এ গলিতে আরও বেশকিছু মুদি দোকান রয়েছে- চাঁদপুর ট্রেডিং, জব্বার স্টোর, মেসার্স আল আমিন ট্রেডার্স, মেসার্স বিসমিল্লাহ স্টোর, আ. রব এন্টারপ্রাইজ। সব দোকানের বিক্রেতাদের কথা প্রায় একই রকম। 

তবে একটি দোকানের বিক্রয়কর্মী আবদুল রতন দৈনিক জাগরণের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘মানুষ হইলো আজাইরা। বুচ্ছেন? এই যে একেকজনে ৫ কেজি, ১০ কেজি কইরা লবণ কিনছে, এতে কী লাভ হইছে? এহন তো বাজারে লবণের কিছু টান পাইড়া গেছে।  কিছু ভাল মানুষ আছে, যারা গুজবে কান দেয় নাই। হেরা তো এহন বিপদে।’ তিনি বলেন, ‘গিয়া দেহেন, ঢাকার বিভিন্ন মহল্লার দোকানে লবণ নাই। সব কিন্নালাইছে। এইসব কোনো মানুষের আচরণ? একজনে একটা কইলো, আর এইটা এমনেই বিশ্বাস কইরা লবণের পিছে পিছে ছুটব?’

একটি দোকানের বিক্রেতা আলী হোসেন বলেন, ‘পাড়া-মহল্লায় লবণ না পাইয়া কিছু কাস্টমার আসতেছে আমাগো কাছে। আইসাই্ আমাগো কাছে গল্প করে, এলাকায় লবণ নাই। কন, কী অবস্থা! পিয়াইজ না হয় দেশে হয় না, বিদেশ থিকা আনা লাগে। কিন্তু লবণ তো দেশে হয়। উল্টা বিদেশেও বেচা হয়। এইটা কী মানুষ জানে না’

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে যখন কারওয়ান বাজারে লবণ কেনার হিড়িক পড়ে অবস্থা বেগতিক হয়ে যায়, তখন তেজগাঁও থানা পুলিশ এসে কিচেন মার্কেট ঘেঁষা গলি ও মাছ বাজারের ছাউনির ভেতরে থাকা সব মুদি দোকান বন্ধ করে দেয়। 

আরএম/ এফসি

আরও পড়ুন