• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০১৯, ০৫:১০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২২, ২০১৯, ০৫:২৬ পিএম

তাজরীন ট্র্যাজেডি : ৭ বছরেও মেলেনি হতাহতদের ক্ষতিপূরণ

তাজরীন ট্র্যাজেডি : ৭ বছরেও মেলেনি হতাহতদের ক্ষতিপূরণ

সাভার আশুলিয়ার তাজরীন গার্মেন্টসে আগুনে পুড়ে ১১৩ জনের মৃত্যুর সেই বিভীষিকা দিন শনিবার (২৩ নভেম্বর)। সেই অগ্নিকাণ্ডে ঘটনার ৭ বছর অতিবাহিত হলেও মেলেনি হতাহতের পরিবারের ক্ষতিপূরণ। সম্পন্ন হয়নি বিচার কার্য। এমনটাই বলেছেন তাজরীনে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা।

আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে ৭ বছর আগে তাজরিন ফ্যাশন গার্মেন্টস কারখানায় ভয়াবহ আগুন কেড়ে নেয় ১১৩ শ্রমিকের প্রাণ। আহত হন শতাধিক শ্রমিক। ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও আহতদের পুনর্বাসনের দাবি ছিল শুরু থেকেই। কিন্তু ৭ বছরে এর কোনোটিই বাস্তবায়ন হয়নি। অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের পেছনে যাদের দায় ছিল, শাস্তির মুখোমুখি হননি তাদেরও কেউ। এ অবস্থায় ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও তাজরীন ফ্যাশনের আগুনে নিহতদের পরিবার ক্ষতিপূরণ, আহতদের চিকিৎকসা ও পুনর্বাসন এবং অপরাধীরা শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে কয়েকটি সংগঠন। এ মানবন্ধনে ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। 

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, গ্রিন বাংলা ওয়ার্কার্স ফেডারেশন, তৃণমূল গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন মানববন্ধনে অংশ নেয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, তাজরীনের অনেক শ্রমিক পুঙ্গত্ববরণ করে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। কেউ কেউ ভিক্ষাবৃত্তি বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন। বিভিন্ন সংগঠন থেকে হতাহতদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা থাকলেও তা সবাই পাননি। সরকারের পক্ষ থেকেও অল্প কিছু শ্রমিককে ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছিল।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, তাজরীন ফ্যাশনে আগুন নিছক দুর্ঘটনা নয়, সেটি ছিল পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় আগুন লাগার পর কারখানার গেট বন্ধ করে দিয়ে শ্রমিকদের হত্যা করা হয়েছিল। যাদের অবহেলার কারণের শতাধিক প্রাণহানি ঘটেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

গ্রিন বাংলা ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি সুলতানা বেগমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের আহ্বায়ক বাহরানে সুলতান বাহার, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন সহিদ ও বাংলাদেশ তৃণমূল গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি শামীম খান।

এইচএম/এসএমএম

আরও পড়ুন