• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২০, ০৯:৩৩ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২২, ২০২০, ০৯:৩৩ এএম

বিজিএমইএ ভবন ভাঙার কাজ শুরু হচ্ছে আজ

বিজিএমইএ ভবন ভাঙার কাজ শুরু হচ্ছে আজ

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আইনি লড়াই শেষে আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকাল থেকে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকার আলোচিত বিজিএমইএ ভবন ভাঙার কাজ শুরু হচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইফতেখার হোসেন। 

সকাল ১০টায় রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় অবস্থিত সংশ্লিষ্ট বিজিএমইএ ভবন ভাঙার কাজ উদ্বোধন করবেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপিতে কর্মরত পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।   

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় থাকা বাংলাদেশ তৈরি পোশাক উৎপাদক ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ ভবন ভাঙা নিয়ে দীর্ঘদিনের জটিলতা রয়েছে। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ভবনটি ভাঙার দরপত্র আহ্বানের পর সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ভবনটি ভাঙতে কাজ পায় সালাম অ্যান্ড ব্রাদার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান। তাদের দরপত্র ছিল ১ কোটি ৭০ লাখ টাকার। সেই অনুযায়ী তাদের কার্যাদেশও দেয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে ভবন ভাঙার কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ায় প্রতিষ্ঠানটি। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে ১০ শতাংশ হারে টাকা কেটে নেয় রাজউক। পরে সেই দরপত্র বাদ দিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠান ফোর স্টার গ্রুপকে কাজ দেয় রাজউক। তাদের দরপত্রে টাকার পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৫৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা। এখন তারা ১ কোটি ২ লাখ টাকায় ভবনটি ভাঙার কাজ শুরু করবে। সনাতন পদ্ধতিতে ভবনটি ভাঙা হবে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, হাতিরঝিলের বিজিএমইএ ভবন ভাঙার বিষয় নিয়ে কিছুটা জটিলতার সৃষ্টি হয়। ওই ভবন থেকে লিফট, এসিসহ মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেয় কর্তৃপক্ষ। এখন যেহেতু লিফট, এসিসহ অনেক মূল্যবান সামগ্রী নেই, এ কারণে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আগে তাদের দেয়া দর কমানোর দাবি জানায়। তাদের দাবি অনুযায়ী ১ কোটি ২ লাখ টাকায় ভবনটি ভাঙার অনুমতি দেয় কর্তৃপক্ষ।

সর্বশেষ গত বছরের ১২ এপ্রিলের মধ্যে বিজিএমইএ ভবন সরিয়ে নিতে সময় দেন সর্বোচ্চ আদালত। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সময় পার হওয়ার পর নির্দেশনা বাস্তবায়নে গত ১৬ এপ্রিল মাঠে নামে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। এরপর বিজিএমইএ ভবনে অভিযানে আসে রাজউক। প্রথম দিনই ভবনে থাকা বিভিন্ন অফিসের মালামাল সরিয়ে নিতে সুযোগ দিয়ে ভবনটি সিলগালা করে দেয়া হয়। পরে অবশ্য আরও কয়েক দফা সুযোগ দেয়া হয় মালামাল সরানোর জন্য।

প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালের দিকে হাতিরঝিলে আড়াআড়িভাবে গড়ে ওঠা বিজিএমইএ ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয়। জলাশয়ে ভবনটি নির্মাণ করায় শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছিলেন পরিবেশবাদীরা। পরে বিষয়টি আদালতে গড়ায়। ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্ট এক রায়ে বিজিএমইএ ভবনটিকে হাতিরঝিল প্রকল্পে একটি ক্যান্সারের মতো উল্লেখ করে রায় প্রকাশ করে। ৯০ দিনের মধ্যে ভবনটি ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেন। এর বিরুদ্ধে বিজিএমইএ লিভ টু আপিল করে, যা ২০১৬ সালের ২ জুন আপিল বিভাগে খারিজ হয়ে যায়।

এইচ এম/ এফসি