• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০২০, ০১:৪০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ১, ২০২০, ০১:৪০ পিএম

ইস্কাটনে অগ্নিকাণ্ড : সন্তানের পর চলে গেলেন মা

ইস্কাটনে অগ্নিকাণ্ড : সন্তানের পর চলে গেলেন মা
শিশু এ কে এম রুশদি ও তার মা জান্নাতুল ফেরদৌসী - ফাইল ছবি

রাজধানীর দিলু রোডের পাঁচতলা ভবনের অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ গৃহবধূ জান্নাতুল ফেরদৌসী (৩৮) মারা গেছেন। রোববার (১ মার্চ) সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তাকে নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪ জন হল।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) অগ্নিকাণ্ডের দিন এ কে এম রুশদি নামে যে শিশুটির মৃত্যু হয়েছিল, জান্নাত তারই মা। সেদিন ভোর ৪টার দিকে দিলু রোডের ৪৫/এ নম্বর ছয়তলা বাড়ির নিচতলার গ্যারেজ থেকে প্রথমে আগুন লাগে। পরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ওপর তলায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে শিশু রুশদিসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার করে। অন্য দুজন হলেন- এইচএসসি পরীক্ষার্থী আফরিন জাহান যুঁথী (১৭) ও আব্দুল কাদের লিটন (৪০)।

বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন বলেছেন, জান্নাতের শরীরের ৯৫ শতাংশ আগুনে পুড়ে গিয়েছিল। দেহের ৪৩ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে এখনও হাসপাতালে রয়েছেন জান্নাতের স্বামী শহিদুল কিরমানী রনি (৪৫)। তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়া রোববার সকালে তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) পাঠানো হয়েছে।

শহীদুল কিরমানি রনি পুলিশ প্লাজায় ‘ভিআইভিপি এস্টেট ম্যানেজমেন্ট’ নামে একটি কোম্পানির ফাইন্যান্স ম্যানেজার। আর তার স্ত্রী জান্নাত বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের অর্থ বিভাগে চাকরি করেন। তাদের বাড়ি নরসিংদীর শিবপুরের ইটনায়।

একই অগ্নিকাণ্ডে ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়েছে ঐ বাড়ির আরো ৪ জন বাসিন্দা। তারা হলেন— কাঁচামাল ব্যবসায়ী মনির হোসেন (৪০), তার স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার (৩০), ছেলে মাহমুদুল হাসান (৯ মাস) ও মাহাদি হাসান রিফাত (৯)।

বাড়িটির তৃতীয় তলায় জান্নাতুল ফেরদৌস পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন। আফরিন জাহান যুঁথী পাঁচতলায় বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন এবং আব্দুল কাদের লিটন থাকতেন ভবনের নিচতলায় একটি কক্ষে। তিনি ঐ ভবনের দ্বিতীয় তলার ক্লাসিক ফ্যাশন ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি বায়িং হাউজের অফিস সহকারী ছিলেন।

এফসি