• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০২০, ০২:৩৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ৩১, ২০২০, ০২:৩৬ পিএম

ঘরে রাখা যাচ্ছে না রাজধানীবাসীকে

ঘরে রাখা যাচ্ছে না রাজধানীবাসীকে
বিধিনিষেধ মানছে না কেউ কেউ ● সংগৃহীত

কোভিড সংক্রমণ ঠেকাতে টানা ছুটি ঘোষণা ও অঘোষিত লকডাউন চললেও গত কয়েকদিন রাস্তায় জনসমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। কোনওভাবেই ঘরে রাখা যাচ্ছে না রাজধানীবাসীকে।

সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে জরুরি প্রয়োজন ছাড়াও সড়কে দেখা যাচ্ছে অনেককে।

মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে রিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল ছিল অনেক।

তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর তৎপরতা বেড়ে যায়। রাস্তায় বের হওয়া প্রায় সবাইকে বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশের পাশাপাশি সেনা সদস্যরাও।

যারা প্রয়োজন ছাড়া বের হয়েছেন তাদের বাড়ি ফেরত পাঠানো হচ্ছে। সড়কে বের হওয়া গাড়িগুলোতে চলছে তল্লাশি।

অলিগলিতে নানা কৌশলে খোলা হচ্ছে দোকানপাট। ফলে জনসমাগমও বাড়ছে। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের নির্দেশনা। বাড়ছে সংক্রমণের ঝুঁকি।

বাড়তি জনসমাগম দেখলে মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে মাস্ক পরার। তবে তারা চলে যাওয়ার পর আবারও সবকিছু অমান্য করা হচ্ছে। অনেকেই বিনা প্রয়োজনে ঘোরাঘুরি করছেন। সচেতন মানুষের অভিযোগ কঠোর পদক্ষেপ না নিলে সবাইকে ঘরে রাখা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে।

বিভিন্ন কাঁচা বাজারে দেখা যায়, কোভিড থেকে রক্ষায় নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব মানছেন না কেউ। এই সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে শারীরিকভাবে একে অন্যের তিন ফুট দূরত্বে অবস্থান করতে বলা হলেও সেটা মানছে না ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই। তবে কেউ কেউ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে পারছে না।

রাজধানীর মতো সারাদেশের চিত্র একই রকম। অনেকে প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন। আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী বারবার বুঝাচ্ছেন সামাজিক দূরত্ব রাখার জন্য কিন্তু কেউ মানছে তো কেউ মানছে না।

টাঙ্গাইলের পার্কবাজারের সামনে অন্যান্য দিনের মতোই অসংখ্য রিকশা দাঁড়িয়ে রয়েছে যাত্রীর জন্য। বাজারে জনসমাগম দেখে বোঝার উপায় নেই কোভিড সংক্রমণ রোধে দেশজুড়ে চলছে সতর্কতা। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে সতর্ক নন অনেকেই।

সতর্কতা না মেনেই নেত্রকোনা, রাজবাড়ী, চুয়াডাঙ্গা, খাগড়াছড়ি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাজারগুলোতেও চলছে জমজমাট বেচা-কেনা।

নোয়াখালীতে গ্রামের বাজারগুলো দিনে অনেকটা ফাঁকা থাকলেও দৃশ্যপট বদলাতে থাকে সন্ধ্যা নামতেই। অনেক রাত পর্যন্ত খোলা থাকছে দোকানপাট। চলে আড্ডা।

নিজ ঘরে থাকার নির্দেশনা উপেক্ষা করে রাজশাহীতে সড়কে বেড়েছে মানুষ চলাচল। গত কয়েকদিন শহর ছিল ফাঁকা।

মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) সকাল থেকে ছিল শহরের স্বাভাবিক সময়ের রূপ।

চায়ের আড্ডা আর গল্প-গুজব মেহেরপুর, ফেনী, ঝিনাইদহ, সিরাজগঞ্জের অনেক স্থানে। একই অবস্থা নরসিংদী, সাতক্ষীরা, ঠাকুরগাঁও, হবিগঞ্জ, জামালপুর, সুনামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, বেনাপোল, ফরিদপুরেও।

নানা অজুহাতে ঘোরা-ফেরা করছেন বাইরে।

কোভিড মোকাবেলায় সমাগম নিষিদ্ধ হলেও পাবনায় মানছেন না অনেকেই।

শিবচর লকডাউন করা হলেও মাদারীপুর শহরে মানুষের চলাচল চোখে পড়ার মতো। অনেকে মানতে চাইছেন না কোভিড সংক্রমণ রোধের বিধি-নিষেধ। ইন্ডিপেন্ডেন্ট।

এসএমএম

সবাইকে নিরাপদ থাকতে হলে অবশ্যই নির্দেশনা মেনে চলার পরামর্শ চিকিৎসকদের।