• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৯, ২০২০, ০৫:৫৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২৯, ২০২০, ০৫:৫৫ পিএম

১০ মে’র পর থেকে লার্ভা পেলেই জরিমানা

১০ মে’র পর থেকে লার্ভা পেলেই জরিমানা

আগামী ১০ মে (রোববার) পর থেকে রাজধানীতে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া রোগের জীবাণুবাহী মশা নিধনে বিশেষ অভিযান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম এমপি।

তিনি বলেন, ১০ মের পর যদি কোনও বাসাবাড়িতে অ্যাডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় তাহলে বাড়িমালিককে জরিমানা করা হবে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করবে। এছাড়া দুই সিটি করপোরেশনই মশকনিধন কার্যক্রম জোরদার করবে। 

বুধবার (২৯ এপ্রিল) কারওয়ানবাজারের ওয়াসা ভবনে অনুষ্ঠিত ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের পর্যালোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বৈঠকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক রোয়েনা আজিজ, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দুই সিটি করপোরেশনের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, জমে থাকা পানিতে অ্যাডিস মশা সহজেই বংশবিস্তার করতে পারে। কাজেই বাসা-বাড়ি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনের ছাদ, বাথরুমের কমোড ও নির্মাণাধীন স্থাপনার বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে থাকলে তা নিজ উদ্যোগে পরিষ্কার করতে হবে। আর সরকারি ভবনগুলোতে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে কাজ করবে। বাসা-বাড়ি ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবন বা চত্বরে মশার বংশবিস্তারের উপযোগী পরিবেশ পরিলক্ষিত হলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে। ১০ মের পর থেকে অভিযান শুরু হবে।

মশক নিধনের জন্য ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের কাছে এক বছরের ওষুধ মজুত আছে বলেও মন্ত্রী জানান।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, মশকনিধনে নগরবাসীর সচেতনতা ও সহযোগিতা প্রয়োজন। নগরবাসীর সহযোগিতা ছাড়া মশক নিধন সম্ভব নয়। সিটি করপোরেশন মশক নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এজন্য বর্তমানে মশার দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বাসার কোথাও যেন পানি জমে না থাকে, সে জন্য নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। 

এসএমএম

আরও পড়ুন