• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৩, ২০২০, ০৯:৩৩ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৩, ২০২০, ০৯:৩৩ এএম

বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি

চার দিনেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে আসামিরা

চার দিনেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে আসামিরা
সাম্প্রতিক ছবি

বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবির চার দিন পেরিয়ে গেলেও মর্মান্তিক ওই ঘটনায় দায়ীদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ডুবে যাওয়া লঞ্চটিকেও টেনে তোলা যায়নি এ ক’দিনে। ওই ঘটনায় নিহতদের স্বজনরা দায়ী ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।

লঞ্চডুবির ঘটনায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও বিআইডব্লিউটিএ গঠিত পৃথক তদন্ত কমিটি এখনও তাদের তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। 

বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) তদন্ত দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য নিয়েছে।

গত সোমবার সকালে মুন্সীগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে মর্নিং বার্ড নামে ছোট আকারের একটি লঞ্চ অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকার সদরঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। সকাল ৯টার কিছু সময় পর সদরঘাটের অদূরেই ময়ূর-২ নামের একটি লঞ্চ পেছন দিয়ে সেটিকে ধাক্কা দিলে মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই লঞ্চটি তলিয়ে যায়। এ ঘটনায় ৩৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাদের সবার বাড়িই মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায়। নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ মামলা করার আগেই সোমবার রাতে নৌপুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়। এতে অভিযুক্ত ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোফাজ্জল হামিদ ছোয়াদ, মাস্টার আবুল বাশার, জাকির হোসেন, ড্রাইভার শিপন হাওলাদার, মাস্টার শাকিল ও সুকানি নাসিরের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। মামলাটির তদন্তও করছে সদরঘাট নৌথানা পুলিশ। যদিও গতকাল পর্যন্ত কোনো আসামিই গ্রেফতার হয়নি।

সদরঘাট নৌ থানার ওসি রেজাউল করিম জানান, আসামিদের গ্রেফতারে সর্বাত্মক তৎপরতা চলছে। পুলিশ কোনো অবহেলা করছে না।

বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম-পরিচালক ও ঢাকা নদীবন্দরের প্রধান এ কে এম আরিফ উদ্দিন বলেন, লঞ্চডুবির ঘটনার কারণ ও দায়ীদের শনাক্ত করতে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ও বিআইডব্লিউটিএ গঠিত পৃথক তদন্ত কমিটির কার্যক্রম চলছে। আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকেই বিআইডব্লিউটিএ গঠিত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। অভিযুক্ত কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।

কেএপি

আরও পড়ুন