• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২০, ০৯:০১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৭, ২০২০, ০৯:০১ এএম

কোভিড-১৯

দেশের পরিস্থিতি নিয়ে জন হপকিন্সের সুখবর

দেশের পরিস্থিতি নিয়ে জন হপকিন্সের সুখবর
প্রতীকী ছবি

জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) ট্র্যাকারের তথ্যমতে, বাংলাদেশে মহামারীর প্রকোপ কমে আসতে শুরু করেছে। গত ৫ দিনের তথ্য বিশ্লেষণ করে এমনটিই জানিয়েছে তারা।

ব্রাজিল, মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পেরু, ইরানসহ বিভিন্ন দেশে করোনা মহামারীর প্রকোপ বেড়ে গেলেও প্রকোপ কমে এসেছে বাংলাদেশসহ রাশিয়া, চিলি, যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশে। অবশ্যই বিষয়টি ইতিবাচক।

দেশে বিভিন্ন স্থানে প্রয়োজন মাফিক লকডাউন নয়তো নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় এমন ইতিবাচক ফলাফল বলে আমরা মনে করি। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে দেশ ধীরে ধীরে করোনা মুক্ত হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।

জন হপকিন্স ট্র্যাকার বলছে, বাংলাদেশে কোভিড-১৯’র প্রথম কেসটি ১১৯ দিন আগে মার্চের ৮ তারিখে ধরা পড়ে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত ১,৬২,৪১৭ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ২০৫২ জন মারা গেছেন।

 

তারা বলছে, গেল জুন মাসই ছিল করোনা সংক্রমণের সর্বোচ্চ ঝুঁকির মাস। বাংলাদেশে স্থানীয় সংক্রমণের ১৪, ১৫, ১৬ ও ১৭তম সপ্তাহজুড়ে আক্রান্ত ও মৃত্যু সমান্তরালভাবে উর্ধ্বমুখী ছিল। ১৮তম সপ্তাহে এসে এ দুটির রেখাচিত্র নিম্নমুখী। মাঝে এক দিন মৃত্যুর সংখ্যা বেশি হলেও সাপ্তাহিক হিসাবের গড়ে ঊর্ধ্বমুখী প্রভাব পড়েনি। বরং মৃত্যুহারে দিনে দিনে বাংলাদেশ নিচে নেমে এসেছে। এমনকি গতকাল ৫৫ জনের মৃত্যু হলেও তাতে মোট গড় মৃত্যুহার বাড়েনি, বরং আগের কয়েক দিনের মতোই ১.২৬ শতাংশ ছিল।

ওই তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে ১৪-১৭তম সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ২১ হাজার ৩৫৩, ২৪ হাজার ৩০৬, ২৫ হাজার ২০৩ ও ২২ হাজার ৪১৩। চার সপ্তাহে মোট ৯১ হাজার ৩৭৫। যা এ পর্যন্ত মোট সংক্রমণের ৫২.৪২ শতাংশ। অন্যদিকে মৃত্যু ছিল সপ্তাহপ্রতি যথাক্রমে ২৯৩, ২৮৬, ২৭০ ও সর্বোচ্চ ৩০২ জন। আর ১৮তম সপ্তাহে মোট শনাক্ত হয় ২০ হাজার ৬১১ জন। এই সপ্তাহে এসে মৃত্যু কমে আসে ২৫৯ জনে। আগের চার সপ্তাহে মোট মৃত্যু এক হাজার ১৫১ জন, যা এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যুর ৫৬.০৯ শতাংশ।

সার্বিক বিষয় বিবেচনা করলে এখনও হয়তো নিশ্চিন্ত হবার সুযোগ নেই, তারপরেও আশাবাদী হওয়া যায় এ ধরণের তথ্যে। আরেকটি বিষয় উল্লেখ করার মতো, তা হলো দেশে করোনা আক্রান্তদের সুস্থতার সংখ্যা। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৬ হাজার ১৪৯ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ।

মাস্ক ব্যবহারসহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার অভ্যাস ধরে রেখে দেশের সব মানুষকে সচেতন হতে হবে। প্রশাসনসহ সরকারের বিভিন্ন মহলকেও হতে হবে সচেষ্ট, তাহলে দেশ দ্রুতই করোনামুক্ত হবে বলে আমাদের আশাবাদ।

কেএপি

আরও পড়ুন