• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০২০, ১০:৫২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২, ২০২০, ১০:৫২ এএম

বর্জ্য অপসারণে সন্তুষ্ট নগরবাসী

চমক দেখাচ্ছেন ঢাকার দুই সিটি মেয়র

চমক দেখাচ্ছেন ঢাকার দুই সিটি মেয়র
বর্জ্য অপসারণে ব্যস্ত ডিএসসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা-জাগরণ

কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে রাজধানী ঢাকার বাসিন্দাদের চমক দেখাতে যাচ্ছেন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ও ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। ঈদের আগে তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজধানীর সব কোরবানির বর্জ্য অপসারণের প্রতিশ্রুতি দেন। তারা বলেন, নগরবাসীর সহায়তা পেলে ২৪ ঘণ্টার নির্ধারিত সময়ের আগেই বর্জ্য অপসারণ সম্ভব।

প্রতিশ্রুতি পূরণের লক্ষ্যে শনিবার দুপুর থেকেই সুপরিকল্পিতভাবে বর্জ্য অপসারণের কাজে নেমে পড়েন দুই সিটি করপোরেশনের ১৭ হাজারেরও বেশি পরিচ্ছন্নতাকর্মী। একই সঙ্গে বর্জ্য অপসারণের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে সাড়ে সাতশর বেশি ছোট-বড় গাড়ি। ওয়ার্ড কমিশনারদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন ওয়ার্ডের আওতাধীন পাড়া-মহল্লার অলিগলি থেকে রাজপথ সর্বত্র চষে বেড়াচ্ছেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। ফলে বিকেলের মধ্যে বর্জ্য অপসারণে দৃশ্যমান চিত্র চোখে পড়ে।

রবিবার (২ আগস্ট) সকালে সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করতে গেলে অলিগলি থেকে রাজপথ, কোথাও কোরবানির পশুবর্জ্য ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়নি। সিটি করপোরেশনের এমন তড়িৎ কাজে সন্তুষ্ট নগরবাসী। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তারা দুই মেয়রের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা বর্জ্য অপসারণে দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন। কিন্তু এবারের মতো এত দ্রুত তৎপরতা আগে দেখা যায়নি।

গেন্ডারিয়ার বাসিন্দা ইউসুফ বলেন, ঈদের দিন দুপুর থেকে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের অলিগলি চষে বেড়াতে দেখেছি। বর্জ্য অপসারণে সারাদিন তারা ব্যস্ত সময় পার করেছেন। অতীতে কখনও এত ছোট-বড় গাড়ি নিয়ে বর্জ্য অপসারণের চিত্র দেখিনি।

উত্তরার বাসিন্দা সাব্বির খান বলেন, এবার একটু ব্যতিক্রমী উদ্যোগ দেখলাম। সিটি করপোরেশনের কর্মীরা রাস্তায় বড় বড় ডাস্টবিন বসিয়ে পাড়া-মহল্লা থেকে ছোট ছোট বাহনে বর্জ্য এনে সেখানে ফেলেন। পরবর্তীতে বড় গাড়িতে করে ডাস্টবিনগুলো সরিয়ে নেয়া হয়। খুবই দ্রুততার সঙ্গে তারা কাজটি সম্পন্ন করেন।

সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা বলছেন, এবার নগরবাসী যত্রতত্র পশু জবাই এবং সেগুলোর বর্জ্য ফেলে রাখেননি। তারা নিজেরাই সচেতন হয়ে বর্জ্য বস্তায় ভরে একটি নির্দিষ্ট স্থানে রাখছেন। ফলে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের কাজও সহজ হচ্ছে, কষ্টও কম হচ্ছে।

এমএইউ

আরও পড়ুন