• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০, ০১:০০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০, ০১:১৫ এএম

চকবাজারে চুড়ির দোকানের আগুন নিয়ন্ত্রণে

চকবাজারে চুড়ির দোকানের আগুন নিয়ন্ত্রণে
প্রতীকী ছবি

পুরান ঢাকার চকবাজারে পাঁচতলা একটি ভবনের নিচতলায় অবস্থিত চুড়ির দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার  (২২ সেপ্টেম্বর ) দিবাগত রাত ১২টার দিকে স্থানীয় আমানিয়া হোটেলের পাশে ১ নম্বর বড় কাটরা গলিতে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

রাত পৌনে একটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন লাগার কারণ বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস বলছে, একটি চুড়ির দোকান থেকে প্রথমে ধোয়া বের হয়। এরপর আশপাশের আরও কয়েকটি দোকানে তা ছড়িয়ে পড়ে। সরু গলি হওয়ায় আগুন নেভাতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের।

ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, খবর পেয়ে রাত ১২টার দিকে তাদের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। সরু গলির ভেতরে পাঁচতলা ভবনের নিচতলার কয়েকটি দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়লেও আশপাশে যাতে ছড়াতে না পারে, ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা সে চেষ্টা করেছেন। রাত পৌনে একটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।

চকবাজার থানার ওসি মওদুদ হাওলাদার বলেন, পাঁচতলা ভবনটির নিচতলায় মার্কেট রয়েছে। উপরের তলাগুলোতে বিভিন্ন পণ্যের গুদাম ও মেস বাসা। আশপাশের ভবনগুলোও একেবারে লাগোয়া। এজন্য অন্য ভবনগুলো থেকে লোকজন সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আগুন যাতে বেশি ছড়াতে না পারে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা সে চেষ্টা করেন।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে তারা জানতে পেরেছেন ভবনটির নিচে দোকানগুলো বন্ধ ছিল। এতে কোনো হতাহত হওয়ার শঙ্কা নেই। পৌনে এক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলে ফায়ার কর্মীরা তা পুরোপুরি নেভানোর চেষ্টা করছিলেন।

এর আগে গত বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে চকবাজারের চুড়িহাট্টা গলিতে রাসায়নিকের গুদামে লাগা ভয়াবহ আগুনে অন্তত ৭১ জন প্রাণ হারান। ওই ট্র্যাজেডির পর ওই এলাকায় আগুন লাগলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার রাতে লাগা আগুনের খবরেও আশপাশের ভবনগুলোর বাসিন্দারা আতঙ্কে নিচে নেমে আসেন।

জাগরণ/কেএপি