• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২০, ১২:৪০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৯, ২০২০, ১২:৪০ এএম

উত্তর সিটিতে পানি সংকট, ভোগান্তি চরমে

উত্তর সিটিতে পানি সংকট, ভোগান্তি চরমে

ঢাকা উত্তর সিটি করপোররেশনের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকদিন ধরে চলমান পানি সংকটে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে এই পানি সংকটে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী - সিটির নবগঠিত ৫৩ ও ৫৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। বিগত চারদিন যাবত এই সমস্যা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান তারা। এদিকে অভিযোগ রয়েছে, এই সমস্যা সমাধানে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে বহুবার অবগত করা হলেও নেয়া হয়নি কোন পদক্ষেপ।

সম্প্রতি ১০ নম্বর সেক্টর সংলগ্ন রানাভোলা এলাকায় অবস্থিত সানবিমস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের মোড়ে একটি নতুন সাব-পাম্প স্থাপন করা হয়েছে। দিনে মাত্র ৪ ঘন্টা সচল রাখা হয় পাম্পটি।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, এই এলাকাটিতে পানি সরবরাহ করা হয় উত্তর সিটি করপোরেশনের উত্তরা এলাকার আইইউবিএটি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় স্থাপিত ওয়াসার পাম্প থেকে। চলমান পানি সংকটের ব্যাপারে জানতে চাইলে, পাম্পের দায়িত্বে থাকা মো. হারুন দৈনিক জাগরণকে জানান, পানি সংকট দূর করার লক্ষ্যে সেখানে নতুন একটি পাম্প স্থাপনসহ আনুষাঙ্গিক সংস্কারের কাজ চলছে, যার কারণে পানি সরবরাহ কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে। আগামী দুই-একদিনের মধ্যে সমস্যা সমাধান হবে।

তবে সাধারণ নাগরিকদের অভিযোগ, 'সংস্কারের কাজ হলে সেক্ষেত্রে অবশ্যই আগে বিষয়টি অবগত করে নেয়ার কথা ওয়াসা কর্তৃপক্ষের। বিদ্যুৎ বা অন্য যেকোনো ক্ষেত্রে যেটা করা হয়। তারা সেই কাজটি করেননি। তাছাড়া প্রতিবারই সমস্যা সৃষ্টি হলে জানতে চাইলেই এমন অজুহাত শোনা যায়। কখনই সংস্কার কাজের পূর্ব-ঘোষণা পাই না আমরা। বললেই শুধু সংস্কার চলে।' তাছাড়া, সাধারণ মানুষকে অবগত না করে এমন সংস্কার কাজ করার কোনো এখতিয়ার ওয়াসা কর্তৃপক্ষের আছে কি না, সে বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ এলাকাবাসী।

'নাগরিকদের ভোগান্তি হ্রাসে এই বিষয়ে বহুবার ওয়াসা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন উত্তর সিটি মেয়র (আতিকুল ইসলাম)। কিন্তু তারা যেন আমলেই নিচ্ছেন না বিষয়টি।'

এ প্রসঙ্গে ওয়াসার বিশেষ একটি সূত্র জানায়, সম্প্রতি ১০ নম্বর সেক্টর সংলগ্ন রানাভোলা এলাকায় অবস্থিত সানবিমস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের মোড়ে একটি নতুন সাব-পাম্প স্থাপন করা হয়েছে। দিনে মাত্র ৪ ঘন্টা সচল রাখা হয় পাম্পটি। তথ্য মতে, এই পাম্পটি এরও বেশি সময় চালানো সম্ভব এবং সেই সক্ষমতাও রয়েছে। যদি এই পাম্পটি আরো বেশি সময় ধরে সচল রাখা হয় সেক্ষেত্রে চলমান সংকটের সমাধান করা সম্ভব দ্রুতই। ওয়াসা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নিয়ে এই পাম্পটির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে এলাকার মানুষের ভোগান্তি হ্রাস করার বিষয়টি পরিকল্পনায় নিতে পারে।

এদিকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে , ৫৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেনে যুবরাজ জাগরণকে বলেন, পানির এই সমস্যা সমাধানের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। পানি সরবরাহের বিষয়টি সিটি করপোরেশনের এখতিয়ারে নেই। যার প্রেক্ষিতে নাগরিকদের ভোগান্তি হ্রাসে এই বিষয়ে বহুবার ওয়াসা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন উত্তর সিটি মেয়র (আতিকুল ইসলাম)। কিন্তু তারা যেন আমলেই নিচ্ছেন না বিষয়টি। সাধারণদের অনেকেই জানেন না যে বিষয়টি সিটি করপোরেশনের অধীনে নয়, যার কারণে অপ্রত্যাশিতভাবে সিটি কর্তৃপক্ষের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ণ হচ্ছে মানুষের মাঝে।  

এলাকার সাধারণ মানুষের অভিযোগ যৌক্তিক দাবি করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, যথাশীঘ্র  সিটি মেয়রের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কথা বিবেচনায় ওয়াসা কর্তৃপক্ষ যেন এই পানি সংকট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে। সিটি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জনসেবার মান নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কাজের সমন্বয় বৃদ্ধির ব্যাপারেও আহ্বান জানান তারা।

এসকে