• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৪, ২০২১, ০৮:০৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ২৪, ২০২১, ০৮:০৩ পিএম

ডিভোর্সি পাত্রী চেয়ে বিজ্ঞাপন, কোটি টাকা হাতিয়ে নিল কথিত সচিব

ডিভোর্সি পাত্রী চেয়ে বিজ্ঞাপন, কোটি টাকা হাতিয়ে নিল কথিত সচিব

পত্রিকায় পাত্রী চাই বিজ্ঞাপনে লেখা সিনিয়র সহকারী সচিব, স্ত্রী মৃত, উচ্চতা ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি। বিজ্ঞাপনে বিধবা অথবা ডিভোর্সি সুদর্শনা পাত্রী চাই উল্লেখ করা হয়। 

আগ্রহীদের জানানো হয়, সুবিধাজনক স্থানে বদলির জন্য দরকার টাকা। বিসিএস কর্মকর্তা, নিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অনেক নারীই ইমাম শাহজাদা নামের প্রতারকের ফাঁদে পা দিয়ে হারিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। অবশেষে সেই কথিত সচিবকে আটক করা হয়েছে।
 
জানা গেছে, পত্রিকার পাত্রী চাই বিজ্ঞাপনে গোয়েন্দারা দেখতে পান যে, ৩০তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করছেন পাত্র জহিরুল হক ওরফে অসীম কুমার সরকার। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর আর বিয়ে করা হয়নি অসীম কুমার সরকারের। যোগ্য পাত্রীর সন্ধানে নিয়মিত পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে যাচ্ছেন।

গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়ার পর আবিষ্কার হয় তার আসল নাম ইমাম শাহজাদা। পড়ালেখার দৌড় মাধ্যমিক পর্যন্ত। মুসলমান পাত্রীদের জন্য তিনি জহিরুল হক নামে, হিন্দু পাত্রীদের জন্য অসীম কুমার সরকার নামে বিজ্ঞাপন দিতেন। বলতেন তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব।

গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, এক ডিভোর্সি নারী বিজ্ঞাপন দেখে যোগাযোগ করেন কথিত এই সচিবের সঙ্গে। বিয়ের কথাবার্তাও চূড়ান্ত হওয়ার পথে। ঠিক তখনই শাহজাদা জানায়, নীলফামারীতে তার বদলির আদেশ হয়েছে। বদলি ঠেকাতে ওই নারীর কাছ থেকে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে বন্ধ করে দেন যোগাযোগ।

ভুক্তভোগী নারী জানান, সে বলে যেভাবে, এটা আমার বিশ্বাস হইছে যে সে সিনিয়র অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি। টাকাটা আমাকে অবশ্যই ফেরত দেবে বলে নিয়ে গেছে। ওইদিন রাতে আবার ছয় লাখ টাকা চান।

ওই কর্মকর্তা আরো জানান, বিজ্ঞাপন দেখে যারা তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে তাদের সবার কাছ থেকেই সে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন নারীদের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) যুগ্ম কমিশনার মো. হারুন অর রশীদ বলেন, বিসিএস ক্যাডার পরিচয় দিয়ে ডিভোর্সি নারীদের বিয়ে করতে চান প্রতারক। এই সুযোগ নিয়ে সে অনেক নারী থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ টাকা নিয়ে সে জুয়া খেলে; তার বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা রয়েছে।

গোয়েন্দা পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, বিজ্ঞাপন দেখে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে যাচাই-বাছাই করুন।

এমইউ