• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ৯, ২০২২, ১১:৫৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ৯, ২০২২, ১১:৫৭ পিএম

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পানির তীব্র সংকট

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পানির তীব্র সংকট
পানির জন্য হাহাকার ● সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তর বাড্ডা ও ভাটারাসহ কয়েকটি এলাকায় তীব্র পানির সঙ্কট চলছে। দিনে রাতে ওয়াসার লাইনে এক ফোটা পানিও মিলছে না। 

দিনের বেশিরভাগ সময় এলাকার বাসিন্দাদের পানি সংগ্রহের জন্য ছুটে যেতে হচ্ছে আশপাশের এলাকায়। তাদের অভিযোগ ওয়াসার কাছে বারবার অভিযোগ করেও কোনও সুরাহা মিলছে না। 

পানি ছাড়া একটি দিন চলার নয়। তার ওপর দেশজুড়ে চলছে তীব্র তাপদাহ। রান্না-বান্না গোসল টয়লেট, প্রাত্যহিক কতো কাজ। সবই যেনো থমকে দাঁড়ায়। 

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, উত্তর বাড্ডার পুরান থানা রোডের কয়েক হাজার বাসিন্দা গেল প্রায় এক মাস ধরে পানিহীন কষ্টের দিন যাপন করছেন। ওয়াসার লাইনে এক ফোঁটা পানিও মিলছে না। 

বাসিন্দারা জানালেন, দিনে কেবল দু-একবার পানি আসে, সারাদিন আর পানি থাকে না। তা দিয়েই সব কাজ করতে হয়।

তাদের অভিযোগ ওয়াসার কাছে বারবার অভিযোগ করেও কোনও সমাধান মিলছে না। দূরের বাসা বাড়িতে ধর্না দিয়ে কিছুটা পানি দিয়ে কোন মতে তারা অতি প্রয়োজনীয় কাজগুলো সারছেন।

পানির খোঁজেই দিন-রাত কাটে বাসিন্দাদের। এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা লাল মিয়া জানান, পানির অভাবে গত দুই দিন ধরে গোসল করতে পারিনি। 

বালতি নিয়ে এ বাড়ি-ও বাড়ি ঘুরেও লোকজন কোথাও পানি পাচ্ছে না। রান্না, খাওয়া, গোসল- সবকিছুই ব্যাহত হচ্ছে। পানির অভাবে এলাকার লোকজন খুব সমস্যায় আছে।

ভাটারা এলাকার বাসিন্দা রাজু আহমেদ বলেন, সপ্তাহের বেশি সময় ধরে আমরা ঠিকমতো পানি পাচ্ছি না। বারবার ওয়াসা কার্যালয়ে অভিযোগ জানিয়েও কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না

শুধু উত্তর বাড্ডাই নয়। লোডশেডিং বাড়ার কারণে রায়ের বাজার, আগারগাঁও, কালাচাঁদপুর পশ্চিম, নূরের চালা, কুড়িল সহ আরও কিছু এলাকাতেও পানি সংকট চলছে। 

দিনের বেশিরভাগ সময়ই পানি মিলছে না। পানির সংকটের কারণে এলাকার প্রতিটি বাড়িতে মানুষ খুব কষ্টে আছে।

বাড়ির মালিকরা ওয়াসার গাড়ি থেকে অতিরিক্ত দামে পানি কিনে ব্যবহার করছেন। কিন্তু এ পানিও একবার আসে, তখন ভাড়াটিয়াদের জন্য একবার ছাড়া হয় পানি।

পাম্প অপারেটররা বলছেন লোডশেডিংয়ের কারণে পানি সরবরাহে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। বিদ্যুৎ চলে গেলে পাম্প বন্ধ হয়ে যায়। 

জাগরণ/রাজধানী/এসএসকে/কেএপি