• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ১২, ২০১৯, ১১:২৯ এএম

নেপালে ইউএস বাংলা বিমান দুর্ঘটনার এক বছর আজ

নেপালে ইউএস বাংলা বিমান দুর্ঘটনার এক বছর আজ

 

নেপালে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান দুর্ঘটনার এক বছর আজ। ২০১৮ সালের ১২ মার্চ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনায় পাইলটসহ নিহত হন ৫১ জন। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া ২০ জনের ৯ জন বাংলাদেশি। ১২ মার্চ দুপুরে চারজন ক্রুসহ ৭১ যাত্রী নিয়ে ত্রিভুবন বিমান বন্দরে বিধ্বস্ত হয় ইউএস বাংলার ডেস-এইট উড়ো জাহাজটি। মর্মান্তিক ঐ ঘটনায় স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে অনেকের। নিহতদের মধ্যে ২৭ জন ছিলেন বাংলাদেশী। দুর্ঘটনায় চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হলেও তা নিয়ে রয়ে গেছে নানামুখী প্রশ্ন।

৭১ জন যাত্রী নিয়ে কাঠমান্ডুর উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার সময় ইউএস বাংলা ফ্লাইটটিতে ঠিকঠাক ছিল সবকিছু। বিপত্তি বাঁধে যাত্রার ৭৫ মিনিট পর। পাহাড় ঘেরা ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে বিধ্বস্ত হয় বোমবার্ডিয়ার ড্যাশ ৮ কিউ ৪০০ উড়োজাহাজটি।

দুর্ঘটনার পর থেকে এর কারণ নিয়ে নানা ধরনের কথাবার্তা এসেছে আলোচনায়। এ নিয়ে একাধিক তদন্ত কমিটি হয়েছে। এর মধ্যেই জানা যায়, পাইলট এবং ত্রিভূবন বিমানবন্দরের এয়ারট্রাফিক কন্ট্রোলের কথোপকথন। চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় নেপাল সিভিল এভিয়েশন। সেখানে দুর্ঘটনাটির বিভিন্ন কারণের মধ্যে ককপিটে পাইলটের ধুমপান এবং ককপিট-এয়ারট্রাফিক কন্ট্রোলের ভুল বোঝাবুঝিকে দায়ী করা হয়। তবে ওইদিনই ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে নেপালের তদন্ত প্রতিবেদনকে একপেশে দাবি করে বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন অথরিটি। অবশ্য দুর্ঘটনার জন্য উড়োজাহাজের কোনো ত্রুটির কথা বলেনি কোনো পক্ষই। তবে বাংলাদেশ বিমানের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র পাইলট ক্যাপ্টেন সাইদ মাহবুব হেলালসহ অন্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাইলট এবং নেপালের এয়ারট্রাফিক কন্ট্রোল আরও দায়িত্বশীল আচরণ করলে হয়তো বাংলাদেশের ইতিহাসে এই সবচেয়ে বড় উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। নেপাল ট্র্যাজেডির পর বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন ফ্লাইট সেফটির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে বলেও জানান ক্যাপ্টেন সাইদ মাহবুব হেলাল।

সাম্প্রতিক সময়ে ফ্লাইট সেফটির পাশাপাশি চট্টগ্রামের ঘটনায় বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও আলোচিত হচ্ছে জোরেশোরে।

জাহো/এসএমএম