• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১৭, ২০১৯, ০৭:২৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৭, ২০১৯, ০৭:২৭ পিএম

এবার নদীর তীরে দৃশ্যমান হলো পদ্মা সেতু

এবার নদীর তীরে দৃশ্যমান হলো পদ্মা সেতু

এবার জাজিরা প্রান্তে ভায়াডাক্টে (নদীর তীরে) দৃশ্যমান হলো পদ্মা সেতু। ৩৮ মিটার দৈর্ঘ্যের রেলওয়ে স্প্যান বসানোর মাধ্যমে ভায়াডাক্টে সেতু দৃশ্যমান হলো। গত ২০ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে প্রায় ২৭ দিনের মাথায় জাজিরা প্রান্তে ভায়াডাক্টে ২০ ও ২১ নম্বর পিলারে জে-৩ স্প্যানটি বসানোর কাজ শেষ হয়। এই স্প্যানে মোট ৬টি আই-গার্ডার রয়েছে।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির এ খবর নিশ্চিত করে জানান, মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ৭টি ও জাজিরা প্রান্তে ৭টি করে এ রকম মোট ১৪টি স্প্যান বসবে। এর মধ্যে থাকবে ৮৪টি আই-গার্ডার। প্রথম স্প্যানটি বসানোর জন্য একটু বেশি সময় লাগলেও পরবর্তী স্প্যানগুলো বসাতে এত সময় লাগবে না। শনিবার (১৮ মে) থেকে জাজিরা প্রান্তে ২১ ও ২২ নম্বর পিয়ারে জে-৪ স্প্যানের গার্ডার বসানোর কাজ শুরু হবে। এই স্প্যানের ওপর দিয়ে রেললাইন বসানো হবে। এ ধরনের ১৪টি স্প্যানের বেশির ভাগের কাজ সমাপ্ত।

প্রকৌশলী আরো জানান, সেতুতে রোডওয়ে স্ল্যাব ও রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হচ্ছে বেশ জোরেশোরেই। এরই মধ্যে সেতুতেমোট ৩১২টি রেলওয়ে স্ল্যাব ও ১৬টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো সম্পন্ন হয়েছে। আর বসানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছে ২০০০টি রেলওয়ে স্ল্যাব ও ৮০০ টি রোডওয়ে স্ল্যাব। সেতুতে মোট ২৯৪টি পাইল ড্রাইভ করতে হবে। এ পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে ২৩৫টি পাইল ড্রাইভ আর ৪২টি পিলারের মধ্যে ২৫টি পিলারের কাজ পুরোপুরি সম্পূর্ণ হয়েছে। প্রকল্পের কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে মোট ১২টি স্প্যান (সুপার স্ট্রাকচার) রয়েছে, যার মধ্যে ৭টি স্প্যান পিলারে বসানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

এদিকে পদ্মা সেতুর মূল অংশে একাদশ স্প্যান বসানোর জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে ১৪ ও ১৫ নম্বর পিলারে আরেকটি স্প্যান (সুপার স্ট্রাকচার) বসতে যাচ্ছে এ মাসেই। ৩ বি স্প্যানটি কত তারিখে বসবে, সেটি এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি বলে পদ্মা সেতুর প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পদ্মা সেতুতে বসানো হয় প্রথম স্প্যান। এর প্রায় চার মাস পর ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় স্প্যানটি বসে। এর দেড় মাস পর ১১ মার্চ জাজিরা প্রান্তে তৃতীয় স্প্যান বসানো হয়। এর ২ মাস পর ১৩ মে বসে চতুর্থ স্প্যান। এরপর ১ মাস ১৬ দিনের মাথায় পঞ্চম স্প্যানটি বসে ২৯ জুন। ৬ মাস ২৫ দিনের মাথায় ২৩ জানুয়ারি বসে ষষ্ঠ স্প্যানটি। গত ২০ ফেব্রুয়ারি ৩৫ ও ৩৬ নম্বর পিলারে বসে জাজিরা প্রান্তের সপ্তম স্প্যান। ২২ মার্চ বসে অষ্টম স্প্যান এবং মাওয়া প্রান্তে গত ১০ এপ্রিল বসে নবম স্প্যান। জাজিরা প্রান্তে মাত্র ১৩ দিনের ব্যবধানে ২২ এপ্রিল স্থায়ীভাবে বসে দশম স্প্যান। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান।

জাজিরা প্রান্তে সেতুর ১৩৫০ মিটার ও মাওয়া প্রান্তের একটি স্থায়ী ও একটি অস্থায়ী স্প্যান মিলে মোট ৩০০ মিটার এবং সেতুর মাঝ বরাবর ৫-এফ স্প্যানটি অস্থায়ীভাবে বসানো শেষ হওয়ায় সেতুর মোট ১৮০০ মিটার দৃশ্যমান হলো। তবে স্প্যানগুলো ভিন্ন ভিন্ন মডিউলে বসানোর কারণে দৃশ্যমান অংশগুলো এক সারিতে নয় বরং বিচ্ছিন্নভাবে থাকবে।

এনআই