• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২৫, ২০১৯, ১১:৫৯ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২৫, ২০১৯, ০১:১১ পিএম

উদ্বোধন হলো ২য় মেঘনা ও গোমতী সেতু, কোনাবাড়ি ও চন্দ্রা ফ্লাইওভার

উদ্বোধন হলো ২য় মেঘনা ও গোমতী সেতু, কোনাবাড়ি ও চন্দ্রা ফ্লাইওভার
গণভবনে টেলিকনফারেন্সে ‍প্রকল্পের উদ্বোধন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ; ছবি- টেলিভিশন থেকে সংগৃহীত


বহুল প্রতীক্ষিত দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় গোমতী সেতুর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেতু দু’টি চালুর ফলে এবারের ঈদে যানজট এড়িয়ে স্বস্তিতে ঘরে ফিরতে পারবেন দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের মানুষজন।

দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় গোমতী সেতু দু’টি ছাড়াও ঈদ উপহার হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়কে কোনাবাড়ি ও চন্দ্রা ফ্লাইওভার, কালিয়াকৈর, দেওহাটা, মির্জাপুর ও ঘারিন্দা আন্ডারপাস এবং কড্ডা-১ সেতু ও বাইমাইল সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর ফলে এবারের ঈদে যানজট এড়িয়ে স্বস্তিতে ঘরে ফিরতে পারবেন ‍উত্তরবঙ্গের মানুষ।  

শনিবার (২৫ মে) বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোইয়াসু ইজুমি।

শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত হিরোইয়াসু ইজুমি বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক আরও অনেকদূর এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩৫ হাজারেরও বেশি যানবাহন চলাচল করে। গোমতী-মেঘনা এ দুই সেতুর টোলপ্লাজা অতিক্রম করতে গিয়ে যানজটের মুখোমুখি হতে হয় যাত্রীদের। নিত্যদিনের যানজটের কারণে মহাসড়কটি মহাভোগান্তিতে রূপ নিয়েছে। বিগত পাঁচ থেকে ছয় বছর ধরে চলমান এ ভোগান্তির অবসানে ২০১৬ সালে  দ্বিতীয় কাঁচপুর, গোমতী ও মেঘনা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

চলতি বছরের ১৬ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর উপর দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

কাঁচপুর, দ্বিতীয় মেঘনা, গোমতী সেতু নির্মাণ প্রকল্প কর্তৃপক্ষের সূত্র জানায়, জাপানি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওবায়সি করপোরেশন, শিমঝু করপোরেশন, জেএফএফ করপোরেশন ও আইএইচআই ইনফ্রা সিস্টেমস কোম্পানি লি.২০১৬ সালের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতীর সঙ্গে দ্বিতীয় কাঁচপুর ব্রিজের কাজ শুরু করে।

এই তিনটি সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে, ৮ হাজার ৪শ’ ৮৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপানের জাইকা ৬ হাজার ৪শ’ ৩০ কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছে। অবশ্য সময়ের আগেই কাজ শেষ করায় এই প্রকল্পে প্রস্তাবিত ব্যয়ের তুলনায় ১ হাজার কোটি টাকা কম খরচ হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী জাপানের প্রতিষ্ঠানগুলো ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে কাজ শুরু করে এবং ২০১৯ সালের জুনে সম্পন্ন করার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়।  মাঝখানে ২০১৬ সালের জুলাইতে হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার কারণে নির্মাণ কাজ চার মাস বন্ধ থাকে। এ কারণে সরকার নির্মাণ কাজ ৬ মাস বাড়িয়ে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করে দেয়। সব মিলিয়ে সেতু তিনটির নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ের সাত মাস আগেই সম্পন্ন হয়।

৯৩০ মিটার দৈর্ঘে্যর দ্বিতীয় মেঘনা সেতু নির্মাণে খরচ হয় এক হাজার ৭৫০ কোটি। আর ১,৪১০ মিটার গোমতী সেতুর নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা।

অপরদিকে শনিবার উদ্বোধন হওয়া ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ফ্লাইওভার দুটি হলো কোনাবাড়ি ও চন্দ্রা ফ্লাইওভার। আর আন্ডার পাসগুলো হলো কালিয়াকৈর, দেওহাটা, মির্জাপুর ও টাঙ্গাইল সদরের ঘারিন্দা। এর মধ্যে কোনাবড়ি ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য ১৬৪৫ মিটার, প্রস্থ ১৮.১ মিটার, চন্দ্রা ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য ২৮৮ মিটার, প্রস্থ ১৮.১ মিটার। এছাড়া মির্জাপুর, কালিয়াকৈর ও ঘারিন্দা আন্ডার পাসের দৈর্ঘ্য ৪০০ মিটার প্রস্থ ১৮.১ মিটার ও দেওহাটা আন্ডার পাসের দৈর্ঘ্য ২৬০ মিটার ও প্রস্থ ১৮.১ মিটার।

জেড এইচ/আরআই